ফিজি প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ। প্রকৃতগতভাবে ফিজি সাগরের মধ্যে সুন্দর একটি দ্বীপ এবং পৃথিবীর ১৫টি দ্বীপের মধ্যে অন্যতম একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। প্রতি বছর এই দ্বীপটিতে লক্ষ লক্ষ বিদেশি পর্যটক বেড়াতে আসে।লোকসংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি। যার মধ্যে ৫৪% প্রাচীন অধিবাসি আর ৩৮% ভারতীয়। তাই এখানে ফিজি ভাষার পাশাপাশি হিন্দি ভাষাও প্রচলিত।
এখানকার জনসংখ্যার ৬৪% খৃষ্টান, ২৮% হিন্দু আর ৬ থেকে ৭% মুসলমান।
বুলা শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এখানে তাই এই শব্দটি লিখে রাখবেন। বুলা মানে হলো হ্যালো। তাই দেশে আসার পর থেকে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার পূর্বমূহর্ত পর্যন্ত এই শব্দটি শুনতে পাবেন।আর যদি কখনো তাদের কোন গ্রামে বেড়াতে যান তাহলে ভূলেও হ্যাট ব্যবহার করবেন না। কারন ফিজিতে স্থানীয় প্রধানরাই শুধু হ্যাট পরার অধিকার রাখে।
ফিজির আয়ের প্রধান উৎস হলো চিনি। এছাড়াও গার্মেন্টেস এবং পর্যটন এদের আয়ের উৎস। ফিজির মূদ্রার নাম ফিজিয়ান ডলার। ১ ফিজিয়ান ডলার বাংলাদেশি প্রায় ৪০ টাকার সমান। কিন্তু এখানে স্থানীয় মূদ্রার চাইতে ইউ এস ডলার বেশি চলে।
ফিজির রাজধানীর নাম সুভা। ফিজির যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক ভালো। এদেশের সাংস্কৃতি আফ্রিকার মতো। আপনি এখানে বেড়াতে এলে তাদের ঐতিহ্যবাহী ড্যান্স দেখতে ভুলবেন না।
স্থানীয়দের ব্যবহারে আপনি মুগ্ধ হবেন। বৃটিশ শাসন আমলে ভারতীয়দের কৃষি কাজের জন্য আনা হয়েছিল এখানে। ফিজির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে অবশ্যই মুগ্ধ করবে। ১৯৭০ সালের ১০ই অক্টোবর ফিজি স্বাধীনতা লাভ করে। ফিজি সবার কাছে একটি দ্বীপ রাষ্ট্রহিসেবেই পরিচিত।
ফিজিতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের কোন ভিসা লাগে না। ফিজি এয়ারপোর্টে অন অ্যারাইভেল ভিসা দেওয়া হয়। ফিজি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের নাম নাদি। ফিজি দ্বীপে প্রচুর নারিকেল গাছ দেখা যায়। ফিজির বেশির ভাগ মানুষ জেলে। তারা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে।