ম্প প্রশাসনের ইমিগ্র্যাশন ক্র্যাকডাউনের মধ্যেও অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি “ডিগনিটি অ্যাক্ট অব ২০২৫” নামে দ্বিদলীয় নতুন অভিবাসন বিল কংগ্রেসে উত্থাপন করা হয়েছে। আর এটি পাস হলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকলগে থাকা গ্রীন কার্ড আবেদনকারীরা প্রিমিয়াম ফি দিয়ে দ্রুত কার্ড পেতে পারেন এবং নির্দিষ্ট অনিবন্ধিত অভিবাসীরা বৈধভাবে আমেরিকায় থাকা ও কাজের সুযোগ পাবেন।
বিলটির কার্যকর হলে যারা গ্রিন কার্ডের জন্য ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষায় আছেন, তারা ২০ হাজার ডলার প্রিমিয়াম ফি দিয়ে দ্রুত প্রক্রিয়ায় আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন। এছাড়া বিলটির মাধ্যমে অভিবাসন ব্যবস্থার বড় ধরনের সংস্কার, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং নির্দিষ্ট অনিবন্ধিত অভিবাসীদের জন্য বৈধতার পথ উন্মুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে।
রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান মারিয়া সালাজার গত মাসে এই বিলটি পেশ করেন, সহপ্রস্তাবক ছিলেন টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট ভেরোনিকা এসকোবার।
তথ্যমতে, বিলের মাধ্যমে তৈরি হওয়া বিশেষ “ইমিগ্রেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ডেট রিডাকশন ফান্ড”–এ প্রিমিয়াম ফি জমা হবে, যা ভিসা আবেদন জট কমানো ও অভিবাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। এছাড়া গ্রিন কার্ডের দেশভিত্তিক সীমা বর্তমান ৭% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে উচ্চ চাহিদার দেশগুলোর দীর্ঘ অপেক্ষার সময় কমে আসে।
বিল অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অনিবন্ধিত অভিবাসীরা সর্বোচ্চ সাত বছরের জন্য বৈধভাবে থাকার ও কাজের অনুমতি পাবেন। সুশৃঙ্খল আচরণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের ভিত্তিতে এই বৈধতার মেয়াদ নবায়ন করা যাবে। এ সময় তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও নিয়মিতভাবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে রিপোর্ট করতে হবে। তবে এ সুযোগ ফেডারেল সুবিধা বা নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ দেবে না।
কংগ্রেসওম্যান মারিয়া সালাজার বলেন, “এটি কোনো সাধারণ ক্ষমা নয়, কোনো বিনামূল্যের সুযোগ নয়, নাগরিকত্বও নয়। এটি জবাবদিহি এবং আমাদের অর্থনীতি ও ভবিষ্যতের স্থিতিশীলতার পথ।” তিনি আরও জানান, বিলের ব্যয় সম্পূর্ণ আসবে আবেদনকারীদের ক্ষতিপূরণ ও ফি থেকে। করদাতাদের অর্থ ব্যয় হবে না।
বিলটিতে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে স্থায়ী কাঠামো তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে বাধা, ড্রোন, রাডার, এবং ই-ভেরিফাই ব্যবস্থার মাধ্যমে সব নিয়োগকর্তার জন্য কর্মীদের বৈধতা যাচাই বাধ্যতামূলক করা। সীমান্তে পরিবারের সম্পর্ক নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার বিধানও রাখা হয়েছে।
সালাজার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “ডিগনিটি অ্যাক্ট ২০২৫ সীমান্ত নিরাপত্তাকে স্থায়ীভাবে আইনে রূপ দেবে। আর কোনো অজুহাত নয়।”