অর্থনৈতিক মুক্তির তাগিদে নিত্যদিন ঘরে-বাইরে পুরুষের যেমন নিরলস সংগ্রাম চলছে, স্বাবলম্বী হওয়ার দৌড়ে তেমনি পিছিয়ে নেই নারীরাও। সংযুক্ত আরব আমিরাতের নারী উদ্যোক্তা আঁখিও সেই সংগ্রামীদের একজন। পুরো নাম শেফালী আক্তার আঁখি। বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায়।
২০০৩ সালের মে মাসে শারজাহ ফ্রি জোনের ভিসা নিয়ে প্রথম পা রাখেন আমিরাতে। এক বছর কাজ করেন একটি কোম্পানির রিসিপশনে। এরপর স্বামী মাজহারুল ইসলাম মাহবুবের সহযোগিতায় শুরু করেন ক্ষুদ্র ব্যবসা। নিজের বুদ্ধি, সাহস, মনোবল, সততা ও অদম্য ইচ্ছার
সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম ধীরে ধীরে তাকে নিয়ে যায় সাফল্যের উচ্চ শিখরে। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন বাংলাদেশি এ নারী উদ্যোক্তা। হয়ে ওঠেন প্রবাসী নারীদের সাফল্যের মডেল। তাকে দেখে রীতিমতো অনুপ্রাণিত হন অন্যান্য নারী উদ্যোক্তা।
বর্তমানে মাহবুব গ্রুপ অব কোম্পানিজের ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আঁখি। তার মালিকানাধীন গ্রুপ অব কোম্পানির অধীনে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ওরিয়েন্ট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, আল বোরাক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, কামিল টেইলারিং অ্যান্ড এমব্রয়ডারি এলএলসি, জাহারাত আল বুসতান মেইন্ট অ্যান্ড ক্লিনিং উল্লেখযোগ্য।
এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন প্রায় ১৪৫ শ্রমিক। সময়ের পালাক্রমে সাফল্যের ছোঁয়া পাওয়া আঁখি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘যখন আমিরাতে আসছিলাম, অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছে। কিন্তু নিজে থেমে থাকিনি। বলতে গেলে কেউ রাজি ছিল না বিদেশে আসি। শুধু নিজের জেদের ওপর নির্ভর করেই বেরিয়ে পড়ি। ইচ্ছে ছিল কিছু একটা করে দেখাবো।
সাফল্যের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সফলতা সব কিছুতেই পেয়েছি। যা চেয়েছি তার চেয়ে বেশিই পেয়েছি। ছোটবেলা ইচ্ছে ছিল সাইকেল চালানোর আর এখন ল্যান্ড ক্লোজার চালাচ্ছি। দেশে-বিদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি। সব সম্ভব হয়েছে স্বামী মাহবুবের সহযোগিতার কারণে।’
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন