প্রবাসী আয় অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ২০২২ সালের প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরে প্রবাসীরা দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন ২১ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট প্রবাসী আয়ের ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার বড় দেশ ভারত প্রবাসী আয়েও এগিয়ে। দেশটি ২০২২ সালে প্রবাসী আয় পেয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট প্রবাসী আয়ের ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর দ্বিতীয় পাকিস্তান প্রবাসী আয় পেয়েছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের প্রবাসী আয় বিশ্বের মোট প্রবাসী আয়ের ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
প্রবাসী আয়ে এগিয়ে থাকা দুটি দেশই তুলনামূলক প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠায়। এ কারণে কম লোক পাঠিয়েও তারা বেশি প্রবাসী আয় নিয়ে আসে। অন্য দিকে বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত জনবল বেশি না হওয়ার কারণে বেশি লোক পাঠিয়েও কম প্রবাসী আয় নিয়ে আসে। বাংলাদেশের প্রবাসী আয় দেশের মোট জিডিপিতে অবদান রাখছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। টালমটাল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রভাব সামলাতে এই প্রবাসী আয় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এ জন্য প্রবাসীদের সম্মাননা, প্রবাসী আয়ের বিপরীতে প্রণোদনা, প্রবাসীদের বিশেষ মর্যাদাসহ বিভিন্ন রকম সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রশিক্ষিত লোক পাঠানোরও।
প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের পরই আছে নেপাল। সে হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় চতুর্থ প্রবাসী আয় আহরণকারী দেশ হলো নেপাল। নেপালের জিডিপির ২১ দশমিক ৮ শতাংশ অবদান প্রবাসী আয়ের। দেশটি ২০২২ সালে প্রবাসী আয় আহরণ করেছ সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার; যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ১ দশমিক ০৭ শতাংশ।
পঞ্চম অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। ২০২২ সালে তাদের আয় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং তাদের মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এই বছরে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের প্রবাসী আয় দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার এবং ভুটানের প্রবাসী আয় দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।