নতুন বছরের শুরুতেই প্রবাসীদের সুখবর দিল সৌদি সরকার। দেশটিতে কোনো প্রবাসীর পাসপোর্ট আটকে রাখলে নিয়োগকর্তার সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল ও ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। নতুন এ নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
২০২০ সালে প্রথমবারের মতো সৌদি সরকার দেশটিতে থাকা প্রবাসীদের স্পনসরশিপ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে শ্রম সংস্কার চালু করে। এরপর প্রবাসীদের কাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল পরিবর্তন, দেশ ত্যাগ এবং পুনঃপ্রবেশসহ নানান সুবিধা চালু করা হয়।
এর পরও দেখা যায়, অনেক নিয়োগকর্তা প্রবাসীদের পাসপোর্ট আটক রেখে, অর্থ দাবিসহ অনিচ্ছার পরও নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি করেন। এবার এ সমস্যা সমাধানে যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। নতুন করে বেশ কয়েকটি নিয়ম চালু করা হয়েছে।
সৌদি আরবের একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, নিয়োগকর্তা যদি কোনো প্রবাসীর পাসপোর্ট ফেরত দিতে অস্বীকার করেন, তবে এটি বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি হিসেবে ১৫ বছরের জেল ও ১০ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
তিনি জানান, সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী এটি মানব পাচার অপরাধের আইনে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। সৌদি সরকারের এমন উদ্যোগ ভোগান্তি কমাবে বলে মনে করছেন প্রবাসীরা।
সৌদি আরবে বর্তমানে প্রবাসীদের সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লাখের বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ।