প্রবাসীদের জন্য সেরা দেশের একটি হালনাগাদ তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক।
এর পরই আগের বছরের চেয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সৌদি আরব। খবর আরব নিউজ।
এক্সপাট ইনসাইডারের জরিপের সর্বশেষ সংস্করণে দেখা গেছে, সৌদি আরব প্রবাসী অর্ধেকেরও বেশি উত্তরদাতা স্থানীয় শ্রমবাজারকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন।
২০২৩ সালে এক্সপাট ইনসাইডারের করা তালিকায় ১৪তম অবস্থানে ছিল সৌদি আরব।
তখন শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম।
চলতি বছর দ্বিতীয় অবস্থানে উত্তরণ সৌদি আরবে কর্মক্ষেত্রের ক্রমাগত উন্নতিকেই সূচিত করে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ নীতি অনুসারে সৌদি আরবে বিদেশীদের জন্য কর্মসংস্থান ও বসবাসের ক্ষেত্রে সম্প্রতি অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা, বেতন ও চাকরির নিরাপত্তা, কাজ ও অবসর, কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি এবং সন্তুষ্টিসহ চারটি উপশ্রেণীর ওপর ভিত্তি করে সূচকটি তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় চাকরির বাজার, কর্মজীবনে সুযোগ, অর্থনৈতিক অবস্থা ও কাজের নিরাপত্তার পাশাপাশি বেতন ন্যায্যতা, কাজের কর্মঘণ্টা, কর্মজীবনের ভারসাম্য এবং ব্যবসায়িক সংস্কৃতিও রয়েছে এ তালিকার মানদণ্ড হিসেবে।
ক্যারিয়ারে সম্ভাবনার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ছাড়িয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে সৌদি আরব। জরিপে অংশ নেয়া ৭৫ শতাংশ সৌদি প্রবাসী জানান, দেশটি তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাকে উন্নত করেছে। সেই সঙ্গে ৬২ শতাংশ প্রবাসী জানান, তাদের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের অনুকূলে রয়েছে সৌদি আরব।
জরিপে আরো দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ সৌদি প্রবাসী স্থানীয় অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট।
তবে বিশ্বব্যাপী সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা যেখানে সাড়ে ৪২ ঘণ্টা, সেখানে সৌদি আরবে পূর্ণকালীন অবস্থানের জন্য প্রবাসীদের সপ্তাহে গড়ে ৪৭ দশমিক ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। পূর্ণকালীন অবস্থানের জন্য দেশটিতে দীর্ঘ কর্মদিবসের বিকল্প নেই প্রবাসীদের। আর বিষয়টির প্রতিফলনও ঘটেছে এ সূচকে।
প্রবাসীদের কর্মঘণ্টার সূচকে ২৩তম এবং কর্মজীবন ভারসাম্যের সূচকে ২৭তম স্থানে আছে সৌদি আরব।
এছাড়া এক্সপাট ইনসাইডারের প্রবাসীদের জন্য অপরিহার্য দেশের সূচকে শীর্ষ দশের মধ্যে ছিল সৌদি আরব। সূচকটিতে ভিসা পাওয়া, স্থানীয় আমলাদের সঙ্গে লেনদেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পাশাপাশি আবাসন ক্রয়ক্ষমতা ও প্রাপ্যতা, অনলাইন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট সুবিধাসহ ডিজিটাল জীবন, স্থানীয় ভাষা শেখা ছাড়াও জীবনযাপনের সম্ভাব্যতাকে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে।