সাগরের গর্জন শুনতে চান? সমুদ্রের ধারে লোনা পানিতে পা ভিজাতে ইচ্ছে করছে? পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বা বন্ধুদের সঙ্গে অলস সময় কাটানোর জন্য অথবা নিজের কাছে একলা হতে দুই দিনের ছুটি নিয়ে চলে যান নারকেল জিঞ্জিরা হিসেবে পরিচিত সেন্ট মার্টিন দ্বীপে।
ফুসফুস ভরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন আর মুখরোচক খাবারের স্বাদ নিতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এখানে। নারকেল গাছের সারি দিয়ে সুসজ্জিত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন সৈকতটি সূর্যাস্তের সময় অনবদ্য। সৈকতের পাশেই হোটেল কিংবা রিসর্ট বুক করে সমুদ্র শোভা উপভোগ করতে পারবেন।
ছোট নুড়ি, পাথর, প্রবাল, শামুক, ঝিনুকে ভরা এখানের সৈকত। চারধারে অনন্ত জলরাশি, গাঙচিল উড়াউড়ি করছে। একটু শান্ত, নিরিবিলি, একান্ত সময় কাটানোর জন্য সেরা সৈকত। ইচ্ছে মতো সাঁতার কাটা থেকে ঢেউয়ের প্রাবল্য দেখতে দেখতে সময় কখন পেরিয়ে যাবে টের পাওয়া যায় না। ছবি তোলার জন্যও সেরা জায়গা।
আপনি যদি একজন প্রকৃতি প্রেমী হন, তবে এই জায়গাটি কিভাবে উপভোগ করবেন সেটা আপনার ভাবার প্রয়োজন নেই। এখানে দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ছেঁড়া দ্বীপ।এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল, নীল সমুদ্র আর সামুদ্রিক মাছের রেসিপি। স্বচ্ছ্ব নীল পানির সঙ্গে নীল আকাশ মিলে যে দিগন্ত তৈরি করে তা সেন্টমার্টিনের প্রকৃতির আলাদা সম্পদ।
সেন্টমার্টিনে বহু হোটেল ও কটেজ রয়েছে, সেখানে থাকতে পারবেন। হুমায়ূন আহমেদের একটি কটেজও আছে।
ঢাকা থেকে বিমানে বা বাসে করে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়া যায়। কক্সবাজার নেমে বাস বা মাইক্রো/জিপ ভাড়া করে টেকনাফ যাওয়া যাবে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যেতে প্রায় এক থেকে দুই ঘন্টা লাগে। টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিনে যাওয়া যায়