শীত আসছে। আর এই শীতে প্রকৃতির রুপের পরিবর্তনের সাথে সাথে জাফলং এর রূপের ও পরিবর্তন হয়। শীতকাল, তাই ডাউকি অগভীর, মৃদু শান্ত। অথচ বর্ষা আসলেই এর রূপ পালটে যায়। আসছে শীতে ঘুরে আসতে পারেন প্রকৃতি কন্যা জাফলং এর কাছ থেকে।
আশপাশ দিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকাগুলো ভটভট আওয়াজ তুলে এদিক ওদিক চলে যাচ্ছে। ওগুলো শৌখিন পর্যটকদের জন্য। আরেক ধরনের নৌকা আছে- সরু লম্বা আর গভীর খোল বিশিষ্ট।
ওগুলো কাজের নৌকা। স্থানীয়দের জীবিকা অর্জনের সহায়। নৌকা ভর্তি করে নুড়ি পাথর বয়ে নিয়ে যাচ্ছে মজনের মোকামে। পাথুরে বেলা ভূমি পেড়িয়ে আপনি হয়ত চলে যাবেন জিরো পয়েন্টে।
সামনে দেখতে পাবেন বর্ডার গার্ড আর ভারতের বি এস এফ এক সাথে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থী দের সরিয়ে দিচ্ছে। সামনেই পিয়াইন নদীর জলে দাপা দাপি করছেন শিশু থেকে শুরু করে নবীন , প্রবীণ। ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকার দেখা পেতে পারেন ।
প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের মন কে ভুলিয়ে দিতে পারে। চোখের সামনে দেখতে পাবেন ঝুলন্ত ব্রিজ। । বাংলাদেশের পিয়াইন নদীর অববাহিকায় ভারতের মেঘালয় প্রদেশের গা ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে জাফলং অবস্থিত। সীমান্তের ওপারে ভারতের ডাউকি অঞ্চল। আসামের ওম নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে ডাউকি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ওম নদী আবার উৎপন্ন হয়েছে আসামের জৈন্তা পাহাড় থেকে। এই ডাউকি নদীই বাংলাদেশে পিয়াইন নদী নামে পরিচিত। এই পিয়াইন বা ডাউকি নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে জাফলং। একপাশে পাহাড় অন্যপাশে নদী- এই দুয়ের সম্মিলনী এই স্থানকে দিয়েছে অপূর্ব এক ব্যঞ্জনা। ফলে ভ্রমণ পিয়াসু বাংলাদেশিদের কাছে এটি হয়ে উঠেছে অতি প্রিয় পর্যটন ক্ষেত্রে।
যেভাবে যাবেন
জাফলং যেতে হলে প্রথমে আপনাকে আসতে হবে সিলেটে। ঢাকা থেকে বাস / ট্রেন যোগে । সিলেট শহর থেকে জাফলংয়ের দূরত্ব ৬০ কি.মি আর যেতে লাগবে ২ ঘণ্টা। রাস্তাটা মোটামুটি ভালো। অন্যসব রাস্তা ভয়াবহ রকমের খারাপ। অবশ্য ভালো পথ শুধুমাত্র তামাবিল পর্যন্তই, এরপর বলতে গেলে রাস্তাই নাই। সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, শিশুপার্ক, সোবহানীঘাট- এই তিনটি জায়গা থেকে জাফলং যাওয়ায় বাস ছাড়ে।