প্যারিসের নাম শুনলেই চোখের সামনে সবারই ভেসে ওঠে আইফেল টাওয়ারের চিত্র। প্যারিস ভ্রমণে এই স্থাপনা দর্শন করেন না, এমন পর্যটক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ এর আসর বসেছে এবার প্যারিসের সেইন নদীর তীরে। এ কারণে অলিম্পিকসহ প্যারিসের নানা বিষয় সম্পর্কে জানার কৌতূহল এখন বিশ্ববাসীর মনে। বিশেষ করে প্যারিসকে কেন ভালোবাসার শহর বলা হয় তা কি জানেন?
ভালোবাসার শহরের আগে প্যারিস আলোর শহর (লা ভিলে লুমিয়ের) হিসেবে বেশি পরিচিত ছিল। এর দুটি কারণ ছিল, এক- আলোকিতকরণের যুগে শিক্ষা ও ধারণার কেন্দ্র হিসেবে এর ভূমিকা ছিল অনবদ্য।
এ কারণে ফরাসিরা প্যারিসের ডাকনাম দেন ‘লা ভিলে লুমিয়ের’ বা ‘আলোর শহর’। ১৮ শতকে রাজা লুই এক্সআইভি প্যারিসের রাস্তাগুলো আলো ঝলমলে করার পরই ডাকনামটি দেওয়া হয়।
সেইন নদীর তীরে অবস্থিত প্যারিসের আকর্ষণ কোনো কালেই যেন কমেনি। আর এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা সেখানে ঘুরতে যান। সেখানকার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরিবেশের স্বাদ পেতে জ্ঞানীগুণীরা ছুটে যান প্যারিসে।
শুধু আইফেল টাওয়ার নয়, প্যারিসের অন্যান্য স্থাপনাসহ মুখোরোচক খাবার ও আলো ঝলমলে ক্যাফেগুলোও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। প্যারিসের মন্টমার্ত্রের কব্লেস্টোন রাস্তাটিও বেশ জনপ্রিয় পর্যটকদের কাছে।
এই রাস্তা ধরে হেঁটে চললে আপনি বিশ্বের বিখ্যাত সহ শিল্পী ও কবিদের ফিসফিসানি শুনতে পারবেন। মন্টমার্ত্রের থিয়েটারে সিনেমা এমনকি লাইভ মিউজিক পারফরম্যান্সসহ অনেক উপভোগ্য বিষয়ই আপনাকে মুগ্ধ করবে।
এছাড়া মন্টমার্ত্রের অলিগলির ক্যাফেগুলোরও প্রেমে পেড়বেন আপনি। প্রিয়জনের সঙ্গে রোমান্টিক সন্ধ্যা উপভোগ করতে চাইলে কোনো এক পারিসিয়ান ক্যাফেতে বসতে পারেন।
সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরটি নানা রঙের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। মিটমিটে আলো সেইন নদী থেকে প্রতিফলিত হয় ও শহরের স্মৃতিস্তম্ভগুলো সোনালিরঙা করে তোলে।
এ সময় নদীর তীরে চাঁদের আলোয় হাঁটা, মনোমুগ্ধকর বিস্ট্রোতে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের স্মৃতি চিরকাল আপনার মনে গেঁথে রবে।