শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

পেট্রোনাস টাওয়ার

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত আকাশচুম্বি অট্টালিকা পেট্রোনাস টাওয়ার। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটিই ছিল বিশে^র সবচেয়ে উচুভবন। ভবনটি মালয়েশিয়ার একমাত্র প্রতীক হয়ে উঠেছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ইসলামিক স্থাপত্য কলা থেকে অনুপ্রানীত হয়ে বর্তমান নকশার ধারনা দেন।

টাওয়ারটি নির্মান করেন জাপানের হাজামা কর্পোরেশন এবং কোরিয়ার সামসং কোম্পানি। মাত্র ৬ বছরের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ হয়। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের উচ্চতা ১৮৪৩ ফুট। ৮৮ তলা এই ভবনটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১.৬ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ১০১ তলা টাওয়ার নির্মানের পর পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার তার সর্বোচ্চ ভবনের তকমা হারায়।

বর্তমানে উচ্চতম ভবনগুলোর তালিকায় এর অবস্থান ১৬তম। মালয়েশিয়ান জাতীয় তেল কোম্পানি পেট্রোনাসের নামে টাওয়ারটির নামকরন করা হয়। এই কোম্পানি বিল্ডিং এর মালিক। ১ নম্বর টাওয়ারে পেট্রোনাসের সদর দপ্তর আর ২ নম্বর টাওয়ারে আছে বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানির অফিস। মাইক্রোসফ্ট,হুয়াওয়ে, আই বি এম, বোয়িং, রয়টার্স, আল-জাজিরার মতো বিশে^র অনেক নামি দামি কোম্পানির অফিস এখানে অবস্থিত।

এছাড়াও টাওয়ার দুটোর নীচে রয়েছে একটি শপিং মল। নাম সুরিয়া কে.এল.সি সি শপিংমল। কুয়ালালামপুরের অন্যতম ব্যান্ডের শোরুম এখানে অবস্থিত। দুটি টাওয়ারের উঠানামার জন্য রয়েছে ৭৮টি দ্রæত গতিসম্পন্ন লিফট। এগুলোর মধ্যে ১০টি লিফট দোতলা বিশিষ্ট। যার ধারনক্ষমতা প্রতি তলায় ২৬ জন করে মোট ৫২ জন লিফট ব্যবহার করতে পারে।এইসব লিফট প্রতি সেকেন্ডে ২০ ফুট পর্যন্ত উঠানামা করে।

বিল্ডিং এর ৮৬ তলায় রয়েছে একটি অবজারভেশন টাওয়ার। সেখান থেকে পুরো কুয়ালালামপুরের অসাধারন দৃশ্য উপভোগ করা যায়। পেট্রোনাসের দুইটি টাওয়ার কটি ব্রিজ দ্বারা সংযুক্ত। এই ব্রিজের মাধ্যমে দুই বিল্ডিং এ ৪১ এবং ৪২ তলা থেকে যাতায়াত করা যায়।সংযোগ ব্রিজটি দূর থেকে ছোট মনে হলেও এর দৈর্ঘ্য ১৯২ ফুট। এটি পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ হাই ব্রিজ। ব্রিজটির ওজন ৭৫০ টন। এতো বড় এবং ভারী কাঠামো জায়গা মতো তুলতে তিন দিন সময় লেগেছে।টিকেট কেটে দর্শনার্থীরা এখানে যেতে পারে। বর্তমানে টিকিটের জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে জনপ্রতি ১৬০০ টাকা। প্রেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের সর্বোচ্চ অত্যন্ত নান্দনিক।

এই ভবনটি ১০০ কিমি ঘূর্নিঝড়েও টিকে থাকতে পারবে। ভবনটি যাতে সূর্যের তাপে বেশি উত্তপ্ত না হতে পারে সেজন্য এর দেওয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে লেমিনেটেড গøাস। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মী প্রতিফলিত করতে পারে। ভবনটির চারপাশ আবৃত করতে ৫ লক্ষ ৯০ হাজার বর্গফুট কাচ ব্যবহার করা হয়েছে। সমস্ত ভবনে ১৮০০টি দরজা এবং ৩২০০ জানালা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় বেড়াতে গেলে পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারটি একবার দেখতে ভুলবেন না। এ স্মৃতি আপনার সারা জীবন মনে থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com