ভারতের জনপ্রিয় কৌতুকশিল্পী ভারতী সিং। তিনি এখন ভারতের সর্বোচ্চ আয়কারী নারী কৌতুকশিল্পী হলেও তার উঠে আসা গরিব পরিবার থেকে। একসময় খুবই কষ্ট করে সংসার চলত তাদের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি এক সাক্ষৎকারে সেসব নিয়েই মুখ খুলেছেন এই কৌতুকশিল্পী।
ভারতী বলেন, তার মা পরের বাড়িতে কাজ করতেন। সেই কাজের বাড়ি থেকে যা খাবার-দাবার পেতেন, সেগুলোই তিনি ছেলে-মেয়ের জন্য রাখতেন। এতটাই আর্থিক কষ্ট ছিল যে ভারতী নাকি তার জীবনে কোনোদিনই একটা আস্ত আপেল খেতে পাননি। তার কথায়, এমনও দিন গেছে খিদের জ্বালায় ডাস্টবিন থেকে খাবার তুলে নিয়ে খেয়েছি। তিনি বলেন, এতটাই কষ্ট ছিল, বড়লোকেরা আপেল খেয়ে যে অংশটা ফেলে দিত, ওটাই ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে খেয়েছি, পেটের ক্ষুধায়।
ভারতীর মতে যারা কৌতুকশিল্পী হয়ে কাজ করছেন, তাদের জীবন ঘেঁটে দেখুন, এমন অনেকেই আছেন যারা গরিব পরিবার থেকে এসেছেন। কমেডি সাধারণত, কষ্ট থেকেই আসে। ভারতীর কথায়, ‘গরিবদের কাছে উৎসবের দিনগুলো সব থেকে কঠিন। উৎসবের সময়, সকলে যখন আনন্দ করে, আমরা হতাশার মধ্যে ডুবে যেতাম। আমার মা যখন কাজের বাড়ি থেকে মিষ্টি আনতেন, তখনই আমরা দীপাবলি পূজা করতে পারতাম। আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে অন্যদের পটকা ফাটানো, বাজি পোড়ানো দেখে দেখে হাততালি দিয়ে উঠতাম, যেন সেগুলো আমিই পুড়িয়েছি।
ভারতীর কথায়, মা যখন পরের বাড়িতে কাজ করতেন, তখন তার সঙ্গে অনেক মানুষকে খারাপ আচরণ করতে দেখেছি। মা অন্যের বাড়িতে টয়লেট পরিষ্কার করতেন। ওদের বাড়িতে খাবার, সবজি বেঁচে গেলে, তারা সেই উচ্ছিষ্ট খাবার দিয়ে মাকে বলতেন, আজ খাবার বেঁচে গেছে নিয়ে যাও। উল্লেখ্য, বর্তমানে অবশ্য ভারতী সিং কৌতুক শিল্পী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি চিত্রনাট্যকার হর্ষ লিম্বাচিয়াকে বিয়ে করেছেন, তাদের এখন এক সন্তানও রয়েছে।