বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

পেঁয়াজু বিক্রি করে ‘কোটিপতি’ দেড় লাখ টাকাও বিক্রি হয় একদিনে

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ডের ফলপট্টিতে পেয়াজুর এক বিশাল সম্ভার। দোকনটি মাসুদের। পুরো নাম মো. মাহফুজুর রহমান মাসুদ খান। গাজীপুর জেলার বরইতলীর বাসিন্দা তিনি।পেঁয়াজু ছাড়াও মাসুদের ঐ দোকানে পাওয়া যায় বেগুনি, আলুর চপ ও সেদ্ধ ছোলা। সারাদিন ভিড়বাট্টা লেগেই আছে তার দোকানে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে ২০-২৫ জন কর্মচারী সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন মাসুদের দোকানে।

মাসুদের পেঁয়াজুর এই স্বাদে মোহিত হয়ে কালিয়াকৈর ছাড়াও গাজীপুরের নানা অঞ্চল, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, ময়মনিসংহ, জামালপুর এমনকি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা এসে পেঁয়াজু কিনে নিয়ে যান।

প্রথমে ২ টাকা দরে পেঁয়াজু বিক্রি শুরু করেন মাসুদ। বর্তমানে তা ১০ টাকা। জানা যায়, প্রতিদিন ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার পেঁয়াজু বিক্রি হয় মাসুদের দোকানে। শুক্রবার সাপ্তাহিক হাটের দিন হওয়ায় সেদিন দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বেচা-বিক্রি হয় বলেও জানিয়েছেন দোকানের ম্যানেজার ওমর উদ্দিন।

প্রায় ৩০ বছর ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মাসুদ। ধীরে ধীরে বড় হয়েছে ব্যবসা। এখন শুধু কর্মচারীর বেতনই দিচ্ছেন মাসে ছয় লাখ টাকা। শুধু পেঁয়াজু বিক্রি করেই মাসুদ হয়েছেন কোটিপতি।

১৯৯২ সালে মাত্র ৩০০ টাকা পুঁজি নিয়ে ফুটপাতে পেঁয়াজুর ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাসুদ। এই ব্যবসা করেই জমি কিনে নির্মাণ করেছেন পাকা দালান, বিয়ে দিয়েছেন তার ৬ বোনকে।

মাসুদের দোকানে পেঁয়াজু খেতে আসা নার্সিং কলেজের ছাত্র শাওন বলেন, ‘প্রথমে কালিয়াকৈরে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে এই পেঁয়াজুর কথা শুনি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও দেখে আমার আগ্রহ হয়।

আমি প্রায় ৩০০ কি.মি. দূরে লালমনিরহাট থেকে এসেছি। পেঁয়াজু খেয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত দূর থেকে আসা সার্থক হয়েছে। পেঁয়াজুর এত স্বাদ এর আগে আমি আর কোথাও পাইনি।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com