১৯৬৪ সালে নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী স্যার এডমন্ড হিলারির তত্ত্বাবধানে এই বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছিল। নির্মাণকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ, ২০০৮ সালে স্যার এডমন্ড হিলারি এরং শেরপা তেনজিং নোরগের নামানুসারে এই বিমানবন্দরের নতুন নাম রাখা হয় তেনজিং-হিলারী বিমানবন্দর। আকাশপথে কাঠমান্ডু থেকে মাত্র ৪০ মিনিটের দূরত্ব এই বিমানবন্দরের। বিপদজনক হলেও বিমানবন্দরটি বেশ জনপ্রিয়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে লুকলা থেকে অধিকাংশ পর্বতারোহীরা মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে যায়।
লুকলা বিমান বন্দরের অবতরণ এবং আরোহণের জন্য বরাদ্দকৃত যে স্থানটি রয়েছে তা আকারে অনেক ছোট। পিচের আস্তরের রানওয়ের এই বিমানবন্দরে শুধুমাত্র হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য ছোট বিমান অবতরন করতে পারে। এর রানওয়ে ৫২৭ মি (১,৭২৯ ফু) × ৩০ মি (৯৮ ফু) এবং ১১.৭ শতাংশ ঢালু। লুকলা বিমানবন্দরের উচ্চতা ৯,৩৩৪ ফুট (২,৮৪৫ মি)। স্বল্প রানওয়ে এবং ভূখণ্ডের কারণে এখানে বড় বিমান অবতরন সম্ভব নয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,০০০ ফুট বা ২,৪৩৮ মিটার উপরে অবস্থিত এই বিমানবন্দরে নেই কোনো উন্নত ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম। যে কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এখানে।
নির্মাণের ১০ বছর পর ১৯৭৩ সালের ১৫ অক্টোবর নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনজন ক্রু এবং তিনজন যাত্রী অক্ষত ছিল। এরপর ৯ জুন ১৯৯১, নেপাল এয়ারলাইন্সের কাঠমান্ডু থেকে আগত একটি বিমান অবতরনের সময় খারাপ আবহাওয়ায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৩ জন ক্রু এবং ১৪ জন যাত্রী জখম হয়। ১২ অক্টোবর ২০১০, সীতা এয়ারের একটি বিমান অবতরনের সময় ব্রেক নষ্ট হয়ে রানওয়ের বাইরেরে দেয়ালে আটকে যায়। সৌভাগ্যবশত সব যাত্রী এবং ক্রু আহত অবস্থায় বের হয়ে আসতে পেরেছিল।