1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন স্থান পয়েন্ট নিমো
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঘুরতে গেলেও হতে পারে ত্বকের ক্যানসার অ্যাপে টিকিট কাটলে ১০ শতাংশ ছাড় জাজিরা এয়ারওয়েজে চাঁদে যাচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি নারী ভারতের যেসব জায়গায় গ্রীষ্মেও দেখা মেলে তুষারপাত আবুধাবি বিমানবন্দর হয়ে ভ্রমণ? দেরি ও বাতিলের আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা ট্রানজিট যাত্রীরাও ক্ষতিগ্রস্ত? আঞ্চলিক উত্তেজনায় এমিরেটস ফ্লাইট বাতিলের মেয়াদ বাড়াল এয়ার ইন্ডিয়া ট্র্যাজেডি : স্ত্রীর শেষ বিদায়ের পর নিজেই হারিয়ে গেলেন দূর আকাশে নাগরিকত্ব পেতে ৫ মিলিয়ন ডলারের ‘গোল্ড কার্ড’, ওয়েবসাইট চালু করলেন ট্রাম্প সিলেটে প্রত্যাশার চেয়ে পর্যটক কম, ৫০ শতাংশ হোটেল-মোটেলই খালি ভিয়েতনামের জনপ্রিয় দ্বীপ ফুঁককে এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৭ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি বিদেশি পর্যটক

পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন স্থান পয়েন্ট নিমো

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন স্থানটি কোথায় অবস্থিত? সেখানে মানুষ কেন যেতে পারে না? কেন সেখানে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব নেই? এসব প্রশ্নের উত্তর অনেকের অজানা।

পয়েন্ট নিমো পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন স্থান। এর সবচেয়ে কাছের স্থলভাগের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ডুকি দ্বীপপুঞ্জ। পয়েন্ট নিমো থেকে এর দূরত্ব ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার।

এই পয়েন্ট নিমোকে বলা হয় স্যাটেলাইটের কবরস্থান। ১৯৭১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এখানে মোট ২৬৩টি মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ ফেলা হয়। এমনকি ২০৩০ সাল নাগাদ এখনকার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা আইএসএসের মেয়াদ শেষ হলে ফেলা হবে এই পয়েন্ট নিমোয়।

পয়েন্ট নিমোতে কোনো জলজ উদ্ভিদ কিংবা প্রাণীর অস্তিত্ব নেই। সেখানকার ১ হাজার ৬০১ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে শুধু মহাকাশযানের অবশিষ্টাংশ। এ ছাড়া রয়েছে তেজস্ক্রিয় উপাদান এবং হাইড্রোজেনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পানিতে এই পদার্থ থাকায় এখানে নেই কোনো সামুদ্রিক প্রাণী।

১৯৯৭ সালে আমেরিকার গবেষকেরা পয়েন্ট নিমোর কাছে একটি নিম্ন কম্পাঙ্কের উপস্থিতি টের পান। সেই কম্পাঙ্কের ফলে একধরনের শব্দও শোনা যেত। প্রথম দিকে এর কোনো উৎস খুঁজে পাননি গবেষকেরা। কিন্তু পরে বিজ্ঞানীরা জানান, হিমবাহের চলনের ফলে এই শব্দের সৃষ্টি। মহাকাশযানের অবশিষ্টাংশ থেকে যে ক্ষতিকর রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, তার জন্যও এখানে কোনো প্রাণী থাকতে পারে না।

কেউ কেউ মনে করেন, সমুদ্রের জলে তীব্র বিপরীতমুখী স্রোত তৈরি হওয়ার ফলে সেখানে পৌঁছাতে পারে না কোনো পুষ্টিকর উপাদান। ওই এলাকার সমুদ্রের পানিতে খাবার পাওয়া যায় না বলেই নেই কোনো প্রাণীও।

ফরাসি ঔপন্যাসিক জুলে ভার্নের বিখ্যাত চরিত্র ক্যাপ্টেন নিমো। তার নামের ওপর ভিত্তি করেই এখানকার নাম দেওয়া হয়। ল্যাটিন ভাষায় ‘নিমো’ শব্দের অর্থ ‘কেউ নয়’।

পয়েন্ট নিমো জায়গাটিতে প্রাণের কোনো অস্তিত্ব নেই বলেই এমন নামকরণ। যদিও সামুদ্রিক প্রাণীর কোনো অস্তিত্ব নেই, তবে পয়েন্ট নিমোর সমুদ্রপাতে আগ্নেয়গিরির ফলে যে ফাটল তৈরি হয়, সেখানে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ঠিকানা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com