বর্তমানে বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতির মোট জিডিপি এখন ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে এর বড় অংশজুড়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানি ও ভারত।
বর্তমানে পৃথিবীতে মোট দেশের সংখ্যা দুইশ’র অধিক। তবে মাত্র ১০টি দেশের কাছেই আছে পৃথিবীর মোট সম্পদের অর্ধেকেরও বেশি।
আর জিডিপির আকারে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি বা বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বলা হয় এদের। ১০০ বছরে বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আর প্রায় অর্ধ শতকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কারেন্সি ডলার বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা। বর্তমানে দেশটির জিডিপি প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বিশ্বের বৃহত্তম।
বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। চীনকে বলা হয় পৃথিবীর কারখানা। কারণ দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম পণ্য রপ্তানিকারক দেশ।
সারা বিশ্বের বাজারেই চীনা পণ্যের আধিপত্য চলছে। দেশটির জিডিপির আকার প্রায় ২০ ট্রিলিয়ন ডলার যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০২৮ সালের মধ্যে অর্থনীতির আকারে চীনের যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে।
পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র জাপান সূর্যোদয়ের দেশ নামে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বেড়ে বেড়ে বর্তমানে দেশটির অর্থনীতি এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম।
বর্তমানে জাপানের জিডিপি প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাপান।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি দেশ জার্মানি, দেশটির মোট জিডিপি প্রায় ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার। জার্মানির জিডিপির ৭০ শতাংশ তাদের দেশীয় পণ্যের উপর নির্ভরশীল।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে পৃথিবীজুড়ে খ্যাত। বর্তমানে ভারতের জিডিপির আকার ৩ দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলার যা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম। অর্থনীতিবিদদের মতে, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান সুদের হার, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
তারপরও ২০২৩ সালে বিশ্বের জিডিপি ২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘ। তবু চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ১ শতাংশ আর চীনের ৫ দশমিক ৩।
একাত্তর