আমাদের ছায়াপথ আকাশগঙ্গায় পৃথিবীর আকারের একটি গ্রহের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। সৌরজগৎ থেকে ৮৬ আলোকবর্ষ দূরের গ্রহটি আগ্নেয়গিরির ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাতের ফলে রুক্ষ ও পাথুরে গ্রহে পরিণত হয়েছে। গত বুধবার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহটি সম্ভবত বৃহস্পতির উপগ্রহ আইওর মতো আগ্নেয়গিরি দিয়ে আবৃত।
গ্রহটি নিজ অক্ষে আবর্তিত হয় না এর একটি অংশ চিরকাল দিনের আলোতে এবং আরেকটি অংশ অন্ধকারে থাকে। গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক বিয়র্ন বেনেকে বলেন, গ্রহটির দিনের অংশ সম্ভবত মরুভূমির মতো গরম ও শুষ্ক। আর রাতের অংশে সম্ভবত বৃহৎ বরফের হিমবাহ রয়েছে।
বেনেকে বলেন, দিন ও রাতের অংশ যেখানে মিলিত হয়, সেই টারমিনেটর অঞ্চলটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়। এখানে রাতের অংশ থেকে হিমবাহ গলে পানিতে পরিণত হতে পারে। ফলে তরল পানির পৃষ্ঠ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রহজুড়ে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। এমনকি রাতের অংশের বরফের নিচে এবং টারমিনেটর অঞ্চলের কাছাকাছি পানির নিচেও অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে।
পৃথিবীর চেয়ে আকারে সামান্য বড় গ্রহটি একটি লাল বামন নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরছে। নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে আকারে অনেক ছোট এবং ভর ও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম। গ্রহটির পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পৃথিবীর চেয়ে সামান্য উষ্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষণাপত্রের সহলেখক স্টিফেন কেইন বলেন, যেহেতু গ্রহটিতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত সক্রিয়, তাই এর বায়ুমণ্ডলে গ্যাস জমা হচ্ছে। সেই হিসেবে গ্রহটিতে সম্ভবত একটি বায়ুমণ্ডল আছে। যদিও গ্রহটি বসবাসের উপযোগী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
সূত্র : আল জাজিরা