ব্যস্ত জীবনকে দিন কয়েকের জন্য বলুন বাই বাই! বেড়িয়ে আসুন সবুজঘেরা পাহাড়ের কোল থেকে। দিন কয়েকের আরামে একেবারে রিফ্রেশ মুডে ফিরুন রোজকার জীবনে। দার্জিলিঙের পাহাড় ঘেরা গ্রাম সিটং-এর অপূর্ব প্রাকৃতিক সোন্দর্য্য তারিয়ে-তারিয়ে উপভোগ করার এটাই সেরা সময়। কার্শিয়ং মহকুমার ছোট্ট এই জনপদ দিন যত যাচ্ছে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে ততই উপরের দিকে উঠে আসছে। পাহাড়ের কোলে থাকা সিটঙের একাধিক হোম স্টে-কটেজ সাধ্যের মধ্যেই এনে দেবে সাধ পূরণের সেরা সুযোগ। সিটঙে কাটানো দিন কয়েকের ছুটির মজা জীবনভর স্মৃতির পাতায় উজ্বল হয়ে থেকে যাবে।
মেরেকেটে দিন চারেকের ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই কেল্লা ফতে! ঘুরে আসুন কালিম্পঙের সিটং থেকে। পাহাড়ঘেরা ও সবুজে সাজানো সিটঙের অপর নাম কমলালেবুর উপত্যকা বা Orange Valley। শীতে এখানে এলে গাছে গাছে ঝুলে থাকা কমলালেবু তোলার সুযোগ মিলবে। পছন্দের মানুষগুলিকে সঙ্গে নিয়ে দিন কয়েক সিটঙে কাটিয়ে যাওয়ার হাতছাড়া করবেন না।
সিটঙে কী কী দেখবেন?
সিটঙে দেখার জায়গা বলতে রয়েছে লেপচাদের গ্রাম। রয়েছে টেগোর মিউজিয়াম, অর্কিড হাউস। কমলালেবু চাষের আঁতুরঘর বলা হয় এই সিটংকে। প্রত্যেক বাড়িতে পাবেন কমলালেবুর গাছ। এছাড়াও পাহাড়ের কোলে থাকা বাড়িগুলিতে অর্কিডের বাগান দেখতে দেখতে চোখ জুড়িয়ে যাবে। সিটং থেকে পর্যটকরা যেতে পারেন আলদারা ভিউ পয়েন্ট, লাটপাঞ্চারে। ট্রেকিং ভালোবাসলে এখান থেকে বেরিয়ে লাবদা-সিক্সিন হয়ে চলে যাওয়া যাবে চটকপুরে। সিটঙের কাছে মংপুতে রয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাংলো। ঘুরে দেখতে পারেন ঐতিহাসিক সেই কেন্দ্রটিও। সিটঙের বুক চিরে বয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি নদী রিয়াং। তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করুন সেই নদী পাড়ের অসাধারণ ও নৈস্বর্গিক এক সৌন্দর্য্য।
কীভাবে যাবেন সিটঙে?
কলকাতা থেকে এনজেপি বা নিউ জলপাইগুড়ি নেমে সিটং যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে যাওয়ার রাস্তা আছে। এছাড়াও শিলিগুড়ি থেকে রাংভি ও মংপু হয়েও কালিম্পঙের সিটঙে যাওয়া যাবে। কলকাতার দিক থেকে গেলে ট্রেনে পৌঁছে যান নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে গাড়িতে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। এছাড়াও কলকাতা থেকে বাস পেয়ে যাবেন।
সিটঙে কোথায় থাকবেন?
সিটঙে থাকার জন্য বেশ কিছু হোম স্টে ও কটেজ রয়েছে। অনেকেই এখন হোম স্টে পরিষেবায় বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। আপার সিটঙে বেশ কয়েকটি কটেজ রয়েছে। এখানকার কটেজ বা হোম স্টের প্রায় সব ঘর থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পারবেন। হোম স্টে-গুলিতে প্রতিদিন থাকা-খাওয়া পিছু ১০০০-১২০০ টাকা খরচ পড়তে পারে। এছাড়াও রয়েছে বনফায়ারের ব্যবস্থা।
সিটং-এর কতগুলি হোম স্টের নাম ও ফোন নম্বর:
Ctong Homestay- 7908152232/9647824055
Sittong Bishes Homestay- 7076060266
Ryang Homestay- 9830027451