রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন

পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা

  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ মে, ২০২৩

ধন-সম্পদ থাকলেই যেমন লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না তেমনি অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও পর্যাপ্ত মেধা থাকা সত্ত্বেও সুযোগের অভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। উড়ার ইচ্ছে অনেকের আছে কিন্তু উড়তে পারছে ক’জন?

শৈশবকালে বাচ্চাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও? কয়েকটি কমন উত্তরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটি হচ্ছে-কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউ পাইলট হতে চায়। মেধাবী হলেই সরকারের শিক্ষানীতির কারণে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পথটা কিছুটা সুগম হয়। কিন্তু পাইলট? মেধাবী হলেই হয়ে উঠে না। সাথে প্রয়োজন অর্থ-বিত্তের। পর্যাপ্ত অর্থ-বিত্ত না থাকার কারণে অনেক মেধাবীর পাইলট হওয়ার স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন হয়েই থেকে যায়।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স। আজ প্রায় ১০ বছর অতিক্রম করতে চলেছে আকাশ পরিবহন ব্যবসায়। বাংলাদেশে বিমান পরিবহন শিল্পে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। শুরু থেকে একটি অন্যতম সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নানাবিধ কাজ ছাড়াও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে পাইলট সংকটে পতিত হচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব বিমানসংস্থা। আর এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স পরিকল্পনামাফিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পাইলট তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে।

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দুইটি ড্যাশ-৮-কিউ৪০০ নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলার বিমান বহরে বর্তমানে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ১৯টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। খুব শীঘ্রই ৪৩৯ আসনের দুইটি এয়ারবাস ৩৩০ এয়াক্রাফট যুক্ত করতে চলেছে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে। যেকোনো বিমানসংস্থার বিমানবহরে এয়ারক্রাফট সংযুক্তির সাথে সাথে অতিরিক্ত পাইলটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় কিন্তু তা সহজেই স্বল্পতম সময়ে পূরণ করা যায় না। বহরে নতুন এয়ারক্রাফট সংযোজন ও নতুন রুটের ব্যপ্তি ঘটানোর পূর্বেই পাইলট নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা এয়ারলাইন্সের পরিকল্পনারই অংশ।

অতিরিক্ত পাইলটের চাহিদা পূরণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০২২ সালের শুরুতে স্টুডেন্ট পাইলট নিয়োগের পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হিউম্যান রিসোর্স এর বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়ে ২০২২ সালে প্রায় ৬৫০০ জন প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ২১ জনকে নানাবিধ পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে বাছাই করে।

গত ২ মে প্রথম পর্বে ১০ জন প্রশিক্ষণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডায় এপিক ফ্লাইট একাডেমিতে ফ্লাইট ট্রেনিং কোর্স করার জন্য দেশ ত্যাগ করেছেন। কোর্স সূচি অনুযায়ী ৪ মে থেকে স্টুডেন্ট পাইলটদের ট্রেনিং শুরু করেছে এপিক ফ্লাইট একাডেমি। আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় পর্বে ১১ জন প্রশিক্ষণার্থী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করবেন। ফ্লাইট ট্রেনিং কোর্স শেষ করার পর ফেডারেল এভিয়েশন এ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (এফএএ সিপিএল) প্রাপ্ত হবেন প্রশিক্ষণার্থীরা।

সফলভাবে ফ্লাইট ট্রেনিং শেষ করার পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে ট্রেইনি ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন। যা একজন পাইলট প্রশিক্ষণার্থীর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার অপেক্ষায় থাকবে ইউএস-বাংলা। সাথে এভিয়েশনে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইতিহাস সৃষ্টি করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

স্টুডেন্ট পাইলট এর মতো এভিয়েশনে দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯০ জনের অধিক দেশী ও বিদেশি পাইলট রয়েছে ইউএস-বাংলায়।

বিডি-প্রতিদিন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com