ল্যান্ডিংয়ের সময় বাতাসের গতিবেগে পরিবর্তন-পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচালো উড়োজাহাজ-অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ১৮০ যাত্রী।
এ ঘটনা ভারতের চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে। সিঙ্গাপুর থেকে ছেড়ে আসা উড়োজাহাজটি চেন্নাই বিমানবন্দরে অবতরণের সময় শেষ মুহূর্তে দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মুখে পড়ে।
রানওয়ে ছোঁয়ার ঠিক আগমুহূর্তে হঠাৎ করে বাতাসের গতিবেগে পরিবর্তন দেখা দিলে অভিজ্ঞতা ও দ্রুত সিদ্ধান্তে ভর করে পাইলট অবতরণ স্থগিত করেন এবং বিমানের মুখ ঘুরিয়ে ফের আকাশে তুলে নেন। এরপর প্রায় আধঘণ্টা চেন্নাই আকাশে চক্কর কাটার পর নিরাপদে অবতরণ করে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-৩৪৭ ফ্লাইটটি।
দ্য ইকোনোমিস্টের বরাতে জানা গেছে, অবতরণের সময় বিমানটি ভূমি থেকে মাত্র ২০০ ফুট উপরে থাকতেই পাইলট বুঝতে পারেন, পরিস্থিতি অনুকূল নয়। সুরক্ষার কথা ভেবে তিনি ‘গো অ্যারাউন্ড’ করার সিদ্ধান্ত নেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, “নিরাপদ অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট গতি, সুনির্দিষ্ট কৌণিক অবস্থান এবং নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অবতরণটি ছিল অত্যন্ত খাড়া এবং হঠাৎ বাতাসের গতি বিপরীত দিকে সরে যায়।”
ঘটনায় কেউ আহত না হলেও এটি নতুন করে বিমান চলাচল নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। চেন্নাই বিমানবন্দরে এর আগেও এমন অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে জয়পুর থেকে আসা একটি ইন্ডিগো ফ্লাইটকেও অনুরূপ বাতাসের কারণে ‘টাচ অ্যান্ড গো’ করতে হয়। চলতি বছরের মার্চে মুম্বাই থেকে আসা একটি ফ্লাইট অবতরণের সময় ‘টেইল স্ট্রাইক’-এর শিকার হয়েছিল, অর্থাৎ বিমানের পেছনের অংশ রানওয়ের সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের প্রস্তুতি নিয়েছে। সংস্থাটি এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর কাছ থেকে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে।