দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ২০২৩ সালের শেষের দিকে তিনটি অত্যাধুনিক প্রমোদতরী নৌ বহরে যুক্ত হবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
তিনি জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্যাসেঞ্জার ক্রুজ ভেসেলগুলোতে থাকবে থ্রিডি সিনেমা হল, সুইমিংপুলসহ সব আধুনিক ব্যবস্থা। যা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকেই প্রসারিত করবে না বরং অর্থনীতিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রি বলেন, ১৫০ আসন বিশিষ্ট ক্রুজে থাকবে বিনোদনের সব ব্যবস্থা। থ্রিডি সিনেমা হল, জিম, সুইমিং পুল রাখা হবে। যাতে একজন পর্যটক ১০-১৫ দিন ক্রুজে অনায়াসে কাটাতে পারেন। সেজন্য তার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর সব ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ক্রুজ ইউরোপে রয়েছে, ভারতেও নেই। আমরা যে তিনটা নিয়ে আসবো তাতে ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ভ্রমণ করতে পারবেন নৌ পথে। অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে হ্যালিপ্যাডের ব্যবস্থাও থাকবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন করপোরেশন- বিআইডব্লিউটিসি’র অধীনে এই তিন ক্রুজের মূল্য প্রায় তিনশো কোটি টাকা। বিআইডব্লিউটিসি’র জন্য ৩৫ টি বাণিজ্যিক জলযান, ৮ টি সহায়ক জলযান ও ২ টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই তিন প্যাসেঞ্জার ক্রুজ ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।