পর্যটনের ধরন যেমন বদলেছে, যুগে যুগে বদলেছে তার অনুষঙ্গ। এ বদলগুলো ঘটছে সময়ের হাত ধরে। এই একুশ শতকে ভ্রমণের যে বদল হয়েছে, তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে আছে প্রযুক্তি। ফলে এখন ভ্রমণে স্বচ্ছন্দ আর গতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তির চোখধাঁধানো ব্যাপক আয়োজন।
হাইপারলুপ হোটেল
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থপতি সিব্রেখ্ট ভবিষ্যতের ভ্রমণের জন্য একটি স্বপ্নদর্শী হোটেলের ধারণা দিয়েছেন। এর নাম হাইপারলুপ হোটেল। তাঁর এই ধারণা একুশ শতকের ভ্রমণে আনতে চলেছে ব্যাপক বদল।
ইলন মাস্কের হাইপারলুপের ধারণা থেকে নেওয়া হয়েছে এ হোটেলের ধারণা। হাইপারলুপ এমন একটি পরিবহনব্যবস্থা, যা যাত্রীবাহী যানগুলোকে কম চাপসম্পন্ন টিউবের মধ্য দিয়ে দ্রুতগতিতে গন্তব্যে নিয়ে যায়। এ ধারণা কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইপারলুপ হোটেলের প্রস্তাব। এর কক্ষগুলোতে শিপিং কনটেইনার ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অতিথিদের নিয়ে যাওয়া হবে। ঘুম, কাজ আর খাওয়ার মাঝেই পৌঁছে যাওয়া যাবে এক শহর থেকে অন্য শহরে। এসব কনটেইনারে থাকবে বসার ঘর, শোয়ার ঘর ও বাথরুম।
ফ্লোরিডা আর্কিটেকচার ফার্ম ইওএ একটি পোর্টেবল ট্রি-টপ হোটেলের নকশা করেছে। এর নাম লিভিং দ্য টিল। এই হোটেলগুলো কিছুটা টয় হাউসের মতো হবে। সেগুলো যেকোনো জায়গায় স্থানান্তর করা যাবে। এ হোটেলের তাঁবুগুলো মাটি থেকে ৩০ ফুট উঁচুতে একটি অন্যটির সঙ্গে তারের মাধ্যমে সংযুক্ত অবস্থায় ঝুলে থাকবে। প্রচলিত তাঁবুর তুলনায় এ ধরনের তাঁবুগুলো পরিবেশবান্ধব হবে। এগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে কম্পোস্টিং এবং প্রাকৃতিক বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।
পানির নিচে রিসোর্ট আছে মালদ্বীপে। তবে এখনো পৃথিবীর কোথাও বিলাসবহুল হোটেল গড়ে ওঠেনি। অনেকে পানির নিচে ভ্রমণে আনন্দ খুঁজে পান। তাঁদের কথা বিবেচনায় রেখে ভবিষ্যতে দুবাই শহরে এমন কিছু বিলাসবহুল হোটেলের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ১২০ ফুট দীর্ঘ এ হোটেলের ৯৮ ফুট থাকবে পানির নিচে। আর বাকি ২২ ফুট থাকবে পানির ওপরে। সমুদ্রে নির্মিতব্য এ হোটেলের পানির ওপরের অংশে থাকবে রেস্তোরাঁ, স্পা এবং এক বিশাল সুইমিংপুল। হোটেলটি বেষ্টিত থাকবে প্রবালপ্রাচীরে। এর শয়নকক্ষগুলো থেকে সমুদ্রের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যাবে।