অপরুপ সৌন্দর্য্যে ভরা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। স্বাভাবিক সময়ে পর্যটকে মুখরিত থাকে সমুদ্র সৈকতটি । কোটা সংস্কার আন্দোলেনের জেরে চলমান কারফিউ ও সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে পর্যটনশূন্য হয়ে পড়েছে দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজার। এতে হোটেল-মোটেলে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব।
কক্সবাজার সৈকতে ব্যস্ততা নেই ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক-ওয়াটার বাইক চালক ও ঘোড়াওয়ালাদের। খালি পড়ে আছে কিটকটগুলো। শামুক-ঝিনুক, জুয়েলারি, বার্মিজ আচার, শুঁটকিসহ পর্যটন পণ্যের দোকানগুলোতেও নেই বেচাকেনা। পর্যটক শূন্য থাকায় বেকার সময় কাটাচ্ছেন সাগরপাড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হকার ও পরিবহন চালকরা।
পর্যটক না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীদের। ক্ষতির মুখে পড়েছেন কোটি কোটি টাকা।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি পর্যটকসেবায় রয়েছে রেস্তোরাঁ, নানারকম পরিবহন, শামুক-ঝিনুক ও শুঁটকির দোকান, ইজিবাইক, ঘোড়া, ফটোগ্রাফার, কিটকট, ওয়াটার বাইক, ভাসমান হকারসহ নানারকম ব্যবসা। এসব শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ। চলমান পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের মাত্রা ছাড়াবে।
একই কথা জানিয়েছেন হান্ডি রেস্তোরার মালিক নুরুল আলম সিকদার। তিনি জানান, এই মূহুর্তে কক্সবাজারে একদম পর্যটক নেই।