এবার ঈদুল ফিতরে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন। দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করার জন্য পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে অনেকেই ছুটছেন দেশের পর্যটন স্থানগুলোতে। এই ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল-সংখ্যক পর্যটক আসার সম্ভাবনা আছে বলে ধারণা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের বরণ করে নিতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান হোটেল মালিকরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যমতে, এবার ঈদে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৯ দিনের ছুটি পেয়েছে সরকারি চাকরিজীবীরা। ১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় থাকবে। এই পাঁচ দিনে গড়ে দেড় লাখ করে সাড়ে ৭ লাখ পর্যটক দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এবার ঈদুল ফিতরে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন। দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করতে পর্যটকরা কক্সবাজারে আসবেন। টানা ৯ দিনের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসার সম্ভাবনা আছে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা। পাশাপাশি ৬০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। তবে আমাদের দাবি, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তারকা মানের হোটেল সি-গালের ম্যানেজার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ঈদের ছুটিতে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
আরেক তারকা মানের হোটেল কক্স-টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, পর্যটকদের বরণ করে নিতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। অনলাইন অফলাইনে বুকিংয়ে সাড়া পাচ্ছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা চার স্তরের নিরাপত্তা তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পর্যটকদের নিরাপদে ভ্রমণ করা আমাদের দায়িত্ব থাকবে। পাশাপাশি সৈকতের প্রবেশ মুখে টুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেস্ক থাকবে।