বিদেশি পর্যটকদের বিনামূল্যে ৫ লাখ বিমান টিকিট দেবে হংকং। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীন নিয়ন্ত্রিত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যয় হবে ২০০ কোটি হংকং ডলার (২৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার)। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
করোনার কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো হংকংয়ের পর্যটন শিল্পও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চীনের করোনা নীতি অনুসরণ করে আসছে হংকং। বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন বিধি জারি ছিল এখানে।
তবে পর্যটন অর্থনীতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সম্প্রতি কিছু বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে হংকং কর্তৃপক্ষ। যেমন, হংকংয়ে ভ্রমণকারীদের হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না বা হংকংয়ের ফ্লাইটে ওঠার আগে করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে না।
এরপর হংকং থেকে আসা ও যাওয়ার ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। স্থানীয় বিমান কোম্পানিগুলোর টিকিট বিক্রি এখনও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটক সংখ্যা বাড়াতে বিমানের টিকিট ফ্রি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হংকং পর্যটন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ডেন চেং বলেন, ‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এয়ারলাইনস সংস্থাগুলোর সঙ্গে সবকিছু চূড়ান্ত করবে। সরকার একবার ঘোষণা দিলেই হংকংয়ে আগত পর্যটকদের ওপর থেকে করোনার সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হবে। সেইসঙ্গে বিনামূল্যে উড়োজাহাজের টিকিটের জন্য প্রচার চালানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, মহামারির সময় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া হংকংয়ের এয়ারলাইনসের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা হিসাবেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী বছর অন্তর্মুখী ও বহির্গামী ভ্রমণকারীদের মধ্যে বিমানমূল্যে টিকিট বিতরণ করবে।
হংকংয়ের প্রধান এয়ারলাইনসগুলো এখনও তাদের ফ্লাইটের সময়সূচি মহামারি-পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে বুধবার ব্রিটিশ এয়ারলাইনস ভার্জিন আটলান্টিক ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা হংকংয়ে তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে।
কারণ হিসেবে তারা ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলেছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের ঊর্ধ্বতন বিশ্লেষক লাই মনে করেন, বিনামূল্যে টিকিট বিক্রির প্রস্তাব জনপ্রিয় ভ্রমণস্থল হিসেবে হংকংয়ের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে।