মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একেক চা-বাগানের সৌন্দর্য একেক রকম। নয়নাভিরাম সেই সৌন্দর্যের টানে বছরজুড়েই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে এই চায়ের রাজধানীতে। সম্প্রতি শ্রীমঙ্গলে পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এম আর খান চা-বাগানের ‘দার্জিলিং টিলা’।
শ্রীমঙ্গলের ৪৪ টি চা বাগানের মধ্যে এই অপরূপ সুন্দর টিলাটি অন্যতম। তবে শ্রীমঙ্গলে অনেক চা বাগানের মধ্যে একেকটি টিলা একেক রকম। প্রত্যকটিরই একটি নিজস্ব সৌন্দর্য রয়েছে।
তবে শ্রীমঙ্গল উপজেলার এম আর খান চা বাগানের এই দার্জিলিং টিলাটি ভিন্ন প্রকৃতির। ভারতের দার্জিলিং চা বাগানের মতো চারদিকে সবুজের সমারোহ, নির্জন পরিবেশ এই পর্যটন স্পটটিকে করেছে মোহনীয়।
অপরূপ সৌন্দর্য, দৃষ্টিনন্দন আর নান্দনিকতায় অনিন্দ্যসুন্দর চা বাগানের এই স্থানটি ইতোমধ্যে নজর কেড়েছে দেশবাসীর। এম আর খান চা বাগানের ৭ নম্বর সেকশনে এই দার্জিলিং টিলার অবস্থান। নিজ চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্যের গভীরতা অনুভব করা যাবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে এই দার্জিলিং টিলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী আসছেন এই দার্জিলিং টিলায়। পর্যটকরা এখানে এসে এর অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে উপভোগ করছেন এর নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।
ভারতের দার্জিলিং চা বাগানের মতো হওয়ায় এটির নামকরণ হয়েছে দার্জিলিং টিলা। বাগান কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে টিলাটির আশপাশে পর্যটকদের জন্য কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করে দিয়েছেন। ছবির মতো সুন্দর এই টিলাটি দেখতে এসে মানুষ হচ্ছেন মুগ্ধ। চলছে ফটোসেশন আর সেলফি তোলার প্রতিযোগিতা। কেউ আবার অপূর্ব সৌন্দর্যময় এ স্থানটির ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড করছেন। গত কিছুদিন ধরে দার্জিলিং টিলার নাম ছড়িয়ে পরায় পর্যটক, দর্শনার্থীদের আগমন বেড়েই চলেছে। প্রায় ৩০০ ফুট উচ্চতায় মনোমুগ্ধকর এ টিলার সৌন্দর্য আর প্রকৃতির সব রূপ-রঙ যেন এখানে এসে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিনোদনপিয়াসী মানুষ খুব সহজেই এখানে আসতে পারছেন। সারাদেশের সাথে সড়ক ও রেলপথে শ্রীমঙ্গলের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। শ্রীমঙ্গল এসে সিএনজি অটোরিকশা বা মোটরবাইক যোগে মাত্র ২০/২২ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় এম আর খান চা বাগানের ৭ নম্বর সেকশনে দার্জিলিং টিলায়। পরিবহন খরচও খুব কম।
পর্যটক, দর্শনার্থী ও ভ্রমণ পিপাসীদের এখন প্রথম পছন্দ দার্জিলিং টিলা। তাই এ টিলার দুর্বার আকর্ষণে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রী। অদ্ভুত এক নির্জন পরিবেশে অবস্থিত এই টিলার আশেপাশে কোন বাড়িঘর নেই। পুরোটাই সাউন্ডলেস। ছবির মতো সাজানো-গুছানো অপরূপ সৌন্দর্যের এই দার্জিলিং টিলায় এসে প্রকৃতি প্রেমীরা হচ্ছেন মুগ্ধ।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এ টিলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ছুটির দিন গুলোতে এখানে পর্যটক, দর্শনার্থী ও প্রকৃতিপ্রেমী এবং স্থানীয় মানুষের সমাগম ঘটে বেশি।