রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

পর্তুগাল: কর্মসংস্থান কেন্দ্রে অভিবাসী নিবন্ধন বাড়ছে

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

পর্তুগালের কর্মসংস্থান কেন্দ্রগুলোতে নিবন্ধিত ১৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ তরুণই বিদেশি। একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর রেকর্ডের তুলনায় এই সমীক্ষায় উঠে আসা বিদেশি তরুণদের (কর্মসংস্থান কেন্দ্রে নিবন্ধিত) সংখ্যাটা শতাংশের হিসাবে অনেকটাই বেশি৷

যুব কর্মসংস্থানের উপর পর্তুগালের অবজারভেটরি পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি ১৬ থেকে ২৯ বছর বয়সি যুবকদের মধ্যে যারা কর্মসংস্থান কেন্দ্রে নিবন্ধিত ছিলেন, তাদের সংখ্যাটা ৫২ হাজারের একটু কম। এদের মধ্যে ১৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ তরুণ অভিবাসী।

জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের এ পর্যন্ত দেয়া হিসাব অনুযায়ী, এই সংখ্যাটা (অর্থাৎ ১৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ) অনেক বেশি। জাতীয় পরিসংখ্যান অনুসারে মাত্র চার শতাংশ কর্মহীন তরুণ অভিবাসী।

অভিবাসীরা দ্রুত কাজ খুঁজে পান

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ বেকার পর্তুগিজ কর্মীর চাকরি খুঁজতে গড়ে ১১ মাস সময় লাগে যেখানে অভিবাসীদের সময় লাগে মাত্র পাঁচ মাস। কেন্দ্রগুলোতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের এক-পঞ্চমাংশের প্রতিনিধিত্ব করেন তারা। বেশিরভাগ অনানুষ্ঠানিক খাতে এবং কর্ম নিরাপত্তা অনিশ্চিত, এ জাতীয় খাতে অভিবাসীরাই মূল লোকবল।

সমীক্ষা অনুসারে, প্রথম চাকরি খুঁজতে অভিবাসী তরুণদের সময় লেগেছে সাড়ে চার মাস অন্যদের ক্ষেত্রে যা ১৫ দশমিক পাঁচ মাস।

‘অভিবাসীরা চাকরি পেলেই খুশি, প্রত্যাশা কম’

লিসবন ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক পাওলো মার্কেস বলেছেন, “গবেষণা বলছে, অভিবাসীরা তাদের প্রাথমিক প্রত্যাশার চেয়ে তুলনামূলক নিম্নপদের চাকরি পেলেও সেটা নিতে ইচ্ছুক। এর ফলে তরুণ পর্তুগিজদের চেয়ে দ্রুত চাকরির বাজারে প্রবেশ করে তারা।”

মার্কেস বলেন, অভিবাসীদের চেনাশোনা কম, তাই যে কোনো একটা চাকরি খুঁজে পেতে তারা অনেক বেশি চাপে থাকেন। এই গোষ্ঠীতে প্রধানত পর্তুগিজভাষী দেশগুলো থেকে আগত তরুণরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (৬৪ দশমিক নয় শতাংশ)। এদের বেশিরভাগই লিসবনের মেট্রোপলিটন এলাকায় থাকেন। এদের মাধ্যমিক স্তরের স্কুলের ডিগ্রি রয়েছে (৬৩ দশমিক পাঁচ শতাংশ)।

পড়াশোনার সময় এদের মধ্যে মাত্র এক-পঞ্চমাংশ (২১ দশমিক সাত শতাংশ) বেকার ভাতার সুবিধা পেয়েছেন।

অভিবাসীদের পাশাপাশি, গবেষণায় আরো দুটি দুর্বল গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরা হলো, স্বল্প যোগ্যতাসম্পন্ন যুবক (যাদের ৩৬ শতাংশ কেন্দ্রগুলোতে নথিভুক্ত)। যদিও স্বল্পযোগ্যতা বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। আরেকদল হলো, কর্মসংস্থানের হার সাধারণত কম, এমন বিষয়ে যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com