পর্তুগালসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও আজ ঈদুল আযহা উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
পর্তুগালে মার্তিম মুনিজ পার্কে বাংলাদেশিদের ঈদের প্রধান জামাতে হাজার হাজার মুসল্লির ঢল নামে। সাত হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার এই পার্কটিতে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় অনেকে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। বলা হয়ে থাকে এটি ইউরোপের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পাশাপাশি এই ঈদ জামাতে আনুষ্ঠানিকতা পর্যবেক্ষণ করার জন্য স্থানীয় মিউনিসিপালটি সানতা মরিয়া মাইয়র এর প্রেসিডেন্ট মিগেল কোয়েলো উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমিও এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে এসেছি। আমাদের এই অঞ্চলটি ঐতিহ্যগতভাবেই বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষের সমাবেশ ঘটে এবং আমরা সকলের সাথে আছি। আমি তাদে সাধুবাদ জানাই, যারা কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে পর্তুগালের উন্নয়নে কাজ করছেন।
ইউরোপের আইন অনুযায়ী খোলা মাঠে পশু জবাই করার নিয়ম না থাকার কারণে এখানে স্থানীয় নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসীরা তাদের কোরবানির ধর্মীয় অনুশাসন পালন করছেন। সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতির কারণে অনেকের পক্ষেই কোরবানির সম্ভব হয়ে ওঠে না।
একসঙ্গে নামাজ পড়তে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রবাসীরা। তারা বলেন, দেশের বাইরে থেকে পশু কোরবানি করতে পারছি না, তবে এত বড় খোলা আকাশের নিচে জামাতে নামাজ আদায় করে ঈদের আনন্দটুকু উদযাপন করতে পারছি।
আলামেদা পার্কের আয়োজক কমিটির সদস্য আল আমিন জানান, রাজধানী লিসবনের এ গুরুত্বপূর্ণ পার্কটিতে বিনা দ্বিধায় লিসবন মিউনিসিপালিটি আমাদের ঈদের জামাত আয়োজন করার সুযোগ করে দেন। সেজন্য আমরা পর্তুগাল সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ একই সাথে আগত দুই হাজার মুসল্লিকে এই জামাতে অংশগ্রহণ করে ঈদের জামাতটি সার্থক করার জন্য অভিনন্দন জানাই।
উল্লেখ্য, পর্তুগালের কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের কারণে এ বছর পর্তুগালে দুই ভাগে ঈদুল আযহা পালন করা হচ্ছে। আগামীকাল ২৯ জুন পর্তুসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির একটি অংশ ও অন্যান্য ইসলামিক কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গ ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।