1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
পর্তুগালের পোর্টো শহরে ওয়াইন ছাড়াও আছে অন্য আকর্ষণ
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ফ্লাইট বদলের অপেক্ষাকে উপভোগ্য করে তুলুন চ্যাটজিপিটির পরামর্শে ফ্রান্সে স্থায়ী বসবাস মার্কিন নারীর দিচ্ছে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ, আবেদন করবেন যেভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত কোনরকম পোশাক পরেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা বস্টনে ভ্রাম্যমাণ পাসপোর্ট সেবাকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভ এবারও যুক্তরাষ্ট্রের ডিভি লটারির সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছে বাংলাদেশ এক প্রশ্নেই ভিসা বাতিল শিক্ষার্থীর, এফ-১ ভিসা নিয়ে নতুন বিতর্ক ফিনল্যান্ড – যেখানে পড়াশোনা মানে শুধু ডিগ্রি নয়, এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

পর্তুগালের পোর্টো শহরে ওয়াইন ছাড়াও আছে অন্য আকর্ষণ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

পর্যটকদের কাছে পর্তুগালের পোর্টো শহরের আকর্ষণ বেড়েই চলেছে৷ বিশ্ববিখ্যাত পোর্ট ওয়াইন ছাড়াও সেখানে প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যের অনেক নিদর্শন রয়েছে৷ শহরটির নিজস্ব চরিত্রও যথেষ্ট আকর্ষণীয় ৷

পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে পোর্টো বিশ্ববিখ্যাত পোর্ট ওয়াইন এবং ছবির মতো নিসর্গের জন্য পরিচিত৷ কিন্তু শহরটির আরও কিছু আকর্ষণ রয়েছে৷ সেখানে ঐতিহাসিক স্থাপত্য থেকে শুরু করে আধুনিক শিল্পের অনেক নিদর্শনের দেখা মেলে৷ পর্তুগালের সুস্বাদু খাবার চেখে দেখার সুযোগ তো রয়েছেই৷

হাতে একটি মাত্র দিন থাকলে পোর্টো শহরে কী দেখা উচিত? শহর সম্পর্কে একটা সার্বিক ধারণা পেতে হলে ‘টেলেফেরিকো দে গাইয়া’ নামের কেবেল কারে চাপা উচিত৷ দুরশ্ নদীর তীর থেকে রওয়ানা হয়ে অসাধারণ দৃশ্য চোখে পড়বে৷

উপরে পৌঁছানোর পর ‘পন্টে দো লুইশ প্রিমেইরু’ সেতুর উপর দিয়ে পোর্টোর প্রাচীন অংশে যাওয়া যায়৷ সেখানে কোন খাবার চেখে দেখা উচিত? অবশ্যই পর্তুগালের ঐতিহ্যগত মিষ্টি ‘পাস্তেইশ দে নাটা’৷ মান্টেইগারিয়া নামের দোকানে গেলে সেই মচমচে মিষ্টি তৈরির প্রক্রিয়াও দেখা যায়৷ দোকানের কর্মচারী ইসাবেল মোটা বলেন, ‘‘আমাদের কোনো রহস্য নেই৷ একেবারে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এই মিষ্টি বেক করা হয়৷ দুধ, ময়দা, ডিম, চিনি, অল্প লেবুর রস আর অনেক ভালোবাসা৷’’

পর্তুগালের পোর্টোতে যা দেখবেন

ওভেনে পাস্তেইশ প্রস্তুত হয়ে গেলে গোটা পাড়া সেই খবর পেয়ে যায়৷ ঐতিহ্য অনুযায়ী ঘণ্টা বাজিয়ে মানুষকে ডেকে পর্তুগালের সবচেয়ে বিখ্যাত খাদ্যটি গরম অবস্থায় খাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়৷

পোর্টো শহরে আরও অনেক দ্রষ্টব্য রয়েছে৷ ‘ফুন্ডাসাঁউ দে সেরালভিশ’ নামের মিউজিয়াম পর্তুগালের সমসাময়িক শিল্পের সেরা সংগ্রহ হিসেবে পরিচিত৷ পর্তুগালের বিখ্যাত স্থপতি ও পোর্টোর সন্তান আলভারো সিসা ভিয়েরা ভবনটি ডিজাইন করেছেন৷ মিউজিয়ামের প্রদর্শনীগুলি সত্যি দেখার মতো৷ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি আন্তোনিউ প্রেটো বলেন, ‘‘ফাউন্ডেশন ও মিউজিয়ামে পর্তুগিজ ও আন্তর্জাতিক শিল্পের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে৷ আধুনিক পর্তুগিজ শিল্পকীর্তিগুলিকে আন্তর্জাতিক শিল্পের সান্নিধ্যে আনাও মিউজিয়ামের অন্যতম দায়িত্ব৷ বিশেষ করে ষাটের দশক থেকে যে সব শিল্প সৃষ্টি হয়েছে৷ একই ছাদের নীচে শিল্প, পরিবেশ ও স্থাপত্যের মধ্যে মেলবন্ধন আমাদের কাম্য৷’’

৩০ বছরেরও আগে গঠিত সেরালভিশ ফাউন্ডেশনের আওতায় শুধু সমসাময়িক শিল্পের মিউজিয়ামই নেই, বেশ কয়েক হেক্টর জুড়ে বিশাল এক পার্কও রয়েছে৷ সেখানেও বিশাল মাপের আধুনিক শিল্পকীর্তি শোভা পাচ্ছে৷ শান্তিতে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগও রয়েছে৷

আবার পোর্টো শহরের প্রাচীন অংশে ফেরা যাক৷ দিনের শেষে ‘পার্কে দাস ভির্টুডেস’-এ ঢুঁ মেরে শীতল পানীয় হাতে সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার মজাই আলাদা!

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com