মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন

পর্তুগালের অভিবাসন প্রক্রিয়া কঠোর হচ্ছে

  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

অন্যদিকে চলতি বছরের শুরু থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেনজেন ইনফরমেশন সিস্টেমের (এসআইএস) অ্যালার্ট প্রক্রিয়া পর্তুগালের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কার্যকর করার কারণে অভিবাসীরা দেশটিতে নিয়মিত হতে জটিলতায় পড়ছেন। এসআইএস সিস্টেমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেনজেন অঞ্চলে বসবাসকারী সব বিদেশি নাগরিকের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাছাড়া বিদেশি নাগরিকদের ওপর নজরদারি করতে এই সিস্টেমে একটি অ্যালার্ট জারি করা হয়।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরে ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করেছেন। তারপর দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে যখন পর্তুগিজ অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থিত হন তখন জানতে পারেন, তার অন্য দেশে বসবাসের তথ্য অথবা অ্যালার্ট রয়েছে। ফলে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার পরও বর্তমানে তাদের পর্তুগালে বসবাসের অনুমতি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

তাছাড়া সুযোগ সন্ধানী হিসেবে অনেক অভিবাসী ইউরোপের দুটি দেশে নিয়মিত হওয়ার প্রক্রিয়া সচল রাখার কারণে খুব সহজেই বিষয়টি পর্তুগিজ অভিবাসন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এ কারণে তাদের পর্তুগাল ছেড়ে যাওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অন্য বিদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিও রয়েছেন।

এদিকে নবগঠিত অভিবাসন সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি শুধু  অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের গ্রহণ এবং তাদের নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়া তদারকি করবে। সীমানা নিয়ন্ত্রণ তথা এয়ারপোর্ট ও নৌবন্দরগুলোতে পুলিশ, জিএনআর ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। আর মানবপাচার এবং অনিয়মিত অভিবাসন সংক্রান্ত প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় পুলিশকে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনা কাটারিনা শুক্রবার (৩ নভেম্বর) একটি আইমা সেন্টার উদ্বোধনকালে বলেন, অভিবাসীদের পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। নতুন সংস্থাটি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র চালু করবে। অর্থাৎ পর্তুগালে নিয়মিতভাবে বসবাস করার ক্ষেত্রে ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তার কথায়। তবে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করে বলেননি।

পর্তুগিজ বর্ডার ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসের পুনর্গঠনের পর অভিবাসীদের নিয়মিতকরণ অথবা বসবাসের অনুমতি প্রদানে দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। অন্যদিকে সীমানা নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে পাঁচটিরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্থা কাজ করবে। এর ফলে পর্তুগালে যারা নিয়মিত হবেন তাদের বিভিন্ন তথ্য আরও গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। একইসঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশেও প্রতিবন্ধকতা থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com