ক্রাবি এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ পরিবেশবান্ধব পর্যটন, এলাকার বিভিন্ন সমুদ্র সৈকত এবং এই এলাকার বিভিন্ন আইল্যান্ড। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ফি ফি আইল্যান্ডের ভুবন ভোলানো রুপ।ক্রাবিতে উপভোগ করা যাবে সমুদ্র ও বিভিন্ন দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আন্দামান সমুদ্রে স্পিডবোটে চলার দুঃসাহসী অভিজ্ঞতা লাভের পাশাপাশি হরেক রকমের ফলের রস উপভোগ করতে পারবেন। যা আপনার মনকে করবে পুলকিত। এছাড়াও ক্রাবি লেকে উপভোগ করা যাবে প্যাডেল বোট চালানোর অভিজ্ঞতা। ছোট প্যাডেল বোটে করে ক্রাবি লেকে ভেসে বেড়ানোর সময় হালকা শীতল হাওয়া আপনাকে স্পর্শ করবে। সাম্যান্য ঢেউয়ের চলতে থেকে দেখবেন বণ্য প্রাণী বানর লেকের ধারে খাবারের খোঁজে সদলবলে বের হয়েছে। চেঁচামেচি করছে আর নৌকা চলছে খুব ধীরে গতিতে ঢেউয়ের তালে।
এছাড়াও ক্রাবির ‘পাকা আর্ট লেন’ এ সন্ধ্যার পর দেখা যাবে ক্রাবির ঐতিহ্যবাহী নাচ আর গানের বর্ণিল পরিবেশনা। ক্রাবি মিউনিসিপালটির আন্দামান কালচারাল সেন্টার। যেখানে প্রদর্শিত রয়েছে সেখানকার চিত্রশিল্পী ও আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পীদের ছবির প্রদর্শনী।
ক্রাবিতে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধর্মের পর্যটকরা বেড়াতে আসেন। এখানকার পর্যটকদের আসাকে উৎসাহিত করতে রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন ধর্মের মানুষের খাবারের বিধি-নিষেধও গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনেকে গরুর মাংস খান তাদের জন্য রেষ্টুরেন্টের এক পাশে বসার ব্যবস্থা। আবার কেউ ধর্মীয় কারণেই গরুর মাংস খান না। তাদের জন্য রেস্টুরেন্টের অন্য জায়গায় বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
কখন যাবেন:
ক্রাবিতে ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় অক্টোবর থেকে মে মাস। এই সময়ের পরিবেশে ক্রাবিকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করার সুযোগ থাকে। পর্যটকরা এই সময় বেশি ভ্রমণ করে থাকে ক্রাবিতে।
খাবেন কোথায়:
ক্রাবিতে রয়েছে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ব্যবস্থা। এসব রেস্তোরাঁয় আপনার পছন্দের মতো খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। ভ্রমণের ফাঁকে সৈকতের পাশের রেস্তোরাঁয় বসে সেরে নেওয়া যাবে পেটপূজাটা।
কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশ থেকে উড়োজাহাজে আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তারপর উড়োজাহাজের কোনো এক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে এক ঘণ্টার আগেই পৌঁছে যাওয়া যায় ক্রাবি।
কোথায় থাকবেন:
ক্রাবিতে থাকার জন্যে রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল। আপনার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে আপনি বেছে নিতে পারবেন আপনার থাকার জায়গা। বিভিন্ন বাজেটের হোটেলের মধ্যে যেমন- আন্দামান লিগাসি গেস্ট হাউজ (ভাড়া ১১০০ টাকা), রিভারসাইড হোটেল (ভাড়া ১২০০ টাকা), দি আন্দামান সানফ্লাওয়ার রিসোর্ট এন্ড স্পা (ভাড়া ১২০০ টাকা) ইত্যাদি।