মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন

পরিবেশবান্ধব পর্যটনে শারজায় বিপুল আয়োজন

  • আপডেট সময় বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই ও আবুধাবির আড়ালে প্রায় ঢাকা পড়ে যায় শারজার চাকচিক্য। কিন্তু এ অঞ্চলে পর্যটন ও বিনোদন পরিষেবায় রয়েছে নিজস্বতা। এখানকার পর্যটন শিল্পে বড় অবদান রেখেছে ২৭৫ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই)। এর আওতায় বিলাসবহুল ও টেকসই ব্যবস্থাপনার সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে ইকো-টুরিজম।

শারজার বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানকার আকর্ষণগুলো মধ্যপ্রাচ্যের পরিবেশসচেতন দর্শনার্থীদের মাঝে নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে।

এ বিষয়ে শারজা ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (শুরক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ আল কাসের বলেন, ‘শুধু ইউএই নয়, এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ইকো-টুরিজম পরিষেবাদাতা হয়ে উঠেছে শারজা। এ দাবি এখন আর অতিকথন নয়।’ তিনি আরো জানান, ২০৫০ সাল নাগাদ নিট শূন্য কার্বন নিঃসরণ এজেন্ডায় আরব আমিরাতের প্রতিশ্রুতির অংশীদার শারজা। একই সঙ্গে জাতিসংঘের ২০৩০ সাল নাগাদ বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) তাদের লক্ষ্যমাত্রায় অন্তর্ভুক্ত।

২০০৯ সাল থেকে পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিয়ে কাজ করছে শারজা, যা আকার ও ব্যবস্থাপনার দিক থেকে দিন দিন ফুলেফেঁপে উঠছে। এর আওতায় রয়েছে একাধিক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। এর একটি হলো দ্য শারজা কালেকশন। যেখানে দর্শনার্থীরা জাতিসংঘের প্রত্যয়িত বিশ্ব ঐতিহ্য এবং সংরক্ষিত এলাকায় ভ্রমণ ও থাকার সুযোগ পায়। এতে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ এলাকায় লাক্সারি লজ, বুটিক হোটেলসহ অন্যান্য স্থাপনা। যার সবগুলোই প্রকৃতিবান্ধব এবং আমিরাতের নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরে।

এছাড়া কালবা পার্বত্যাঞ্চলকে আবহে রেখে স্থাপিত নোমাড প্রজেক্ট অ্যাডভেঞ্চার টুরিজমের স্বাদ দেয়। শারজার আরেকটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন গন্তব্য হলো বুটিক আল ফায়া। যেখানে ষাটের দশকের পাথুরে প্রাসাদের সঙ্গে আধুনিক স্থাপত্য ও প্রকৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com