বর্তমান সময়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার পর্যটক আকর্ষণের দিক থেকে যে স্থানটি সবচেয়ে এগিয়ে সেটি হলো পদ্মা রিসোর্ট। প্রমত্তা পদ্মা নদীর বুকে এই রিসোর্টটি অবস্থিত। মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং নামক স্থানে এই রিসোর্টটি অবস্থিত। পর্যটকদের নিরিবিলি অবকাশ যাপনের জন্য এখানে রয়েছে কাঠের তৈরি ১৬টি ডু-প্লেক্স কটেজ। প্রতিটি কটেজে রয়েছে একটি বড় বেডরুম, দুটি সিঙ্গেল বেডরুম ও একটি ড্রইংরুম। আছে দুটি ব্যলকনি এবং একটি বাথরুম। শীতকালে প্রতিটি কটেজের চারপাশে রং-বেরংয়ের ফুলের খেলা এবং বর্ষায় পানির রাজ্য। যারা রাতের আকাশে পূর্ণ চাঁদ দেখতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান। রয়েছে ঢিঙি নৌকায় করে পদ্মার বুকে ভেসে বেড়ানোর ব্যবস্থা। অবকাশ যাপনের পাশাপাশি এই রিসোর্টটি বিয়ে, জন্মদিন, অফিসিয়াল অনুষ্ঠান সহ পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।
যোগাযোগ
রোড-১৯/বি, হাউজ – ২৮৯ (নিচতলা), মহাখালী নিউ ডিওএইচএস, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১২ ১৭০৩৩০, ০১৭৫২ ৯৮৭৬৮৮
ই-মেইল: [email protected] , [email protected]
যাতায়াত ব্যবস্থা
ঢাকা থেকে ৪০ কি.মি. দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং নামক স্থানে পদ্মা নদীতে চড়ের উপর এই রিসোর্টটি অবস্থিত। ঢাকার গুলিস্তান, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী থেকে এই রুটে বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস প্রতি ১০/১৫ মিনিট পর পর চলাচল করে। গুলিস্তান সুন্দরবন স্কোয়ার মার্কেটের পূর্ব পাশ এবং যাত্রাবাড়ী গোলচত্ত্বরের পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-লোহজং এর বাস ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে সড়কপথে এই জেলার ভাড়া ৬০ টাকা। মাওয়া ফেরিঘাট থেকে রিসোর্টে যাওয়ার জন্য রিসোর্টের নিজস্ব স্পীডবোট রয়েছে।
খাবার দাবার
পদ্মা নদীর টাটকা ইলিশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে চাইলে যেতে পারেন পদ্মা রিসোর্টে। এছাড়া আরও রয়েছে টাটকা শাকসবজি, গরু, মুরগি ও হাসের মাংস। এছাড়া মৌসুমি ফলমূল তো রয়েছেই। সকালের নাস্তার জন্য জনপ্রতি খরচ পড়ে ১০০ টাকা এবং দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য জনপ্রতি খরচ পড়ে ৩০০ টাকার মতো।
কটেজ ভাড়া