মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

পদ্মাপাড়ে ভোজন ও ভ্রমণপ্রিয়দের নতুন ঠিকানা

  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩

পদ্মার সর্বনাশা রূপের কথা আমরা সবাই জানি। সে কখনো শান্ত, কখনো উত্তাল, কখনো বা সর্বগ্রাসী। পদ্মা তার রূপ বদলায় ইচ্ছে মতো। সে কারও আপন নয়।

তবে এই পদ্মাকে বড় ভালোবাসে এখানকার মানুষ। পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবিকা জোগায় এই নদী। তিন বেলা না হলেও এক-দুই বেলার আহার জোগায় পদ্মা। আর কোলাহল ও যানজট থেকে বেরিয়ে আসা শহুরে মানুষকে প্রশান্তি দেয়। শহরের মানুষেরা একটু ছুটি পেলেই চলে যায় মাওয়া ঘাটে। তাই মাওয়া ঘাট এখন প্রায় সব খাদ্য আর ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা। কম খরচে খাওয়া আর নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এই মাওয়া ঘাটে।

সুস্বাদু ইলিশ খেতে, নৌভ্রমণ ও পদ্মার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে মাওয়ায় প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষের আগমন ঘটে। সেখানে আছে প্রচুর রেস্টুরেন্ট। সেই সঙ্গে রাতে পদ্মা সেতুতে গাড়ি নিয়ে ভ্রমণ দেয় এক মনোরম অভিজ্ঞতা।

যাঁরা নদীর সৌন্দর্য ও খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে চান, তাঁদের একটি নতুন ঠিকানা হতে পারে ইশো বিচ ক্লাব। ঢাকা শহর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে, যান্ত্রিক কোলাহলের বাইরে মুখরোচক খাবারের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানো জন্য এখানে সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি ফ্লোর ও কাচের দেয়ালে নির্মিত রেস্টুরেন্টটি। এখানে বসে পদ্মার যেকোনো বেলার রূপ দেখতে দেখতে খাবার উপভোগ করা যাবে। রেস্টুরেন্টের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে বসার চমৎকার ব্যবস্থা।

ইশো বিচ ক্লাবে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট করার সুযোগ

ইশো বিচ ক্লাবে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট করার সুযোগ। 

রোমান্টিক ডিনার বা প্রমোদভ্রমণ, অ্যানিভার্সারি, জমকালো পার্টি, করপোরেট মিটিং, পারিবারিক কিংবা অফিশিয়াল মিলনমেলা, বিবাহপূর্ব ফটোশুট, বাগদানসহ সব ধরনের আয়োজনের জন্য আদর্শ জায়গা হতে পারে এই পপ-আপ রেস্টুরেন্টটি।

উত্তাল পদ্মার ঠিক পাশেই অবস্থিত ইশো বিচ ক্লাবে আরও থাকছে নৌভ্রমণ, রাতে খোলা আকাশের নিচে বসে লাইভ মিউজিক্যাল পারফরম্যান্স, বারবিকিউ ও লাইভ গ্রিল উপভোগের সঙ্গে অসাধারণ কিছু স্মৃতি তৈরির সুযোগ। এ ছাড়া রেস্টুরেন্টের সামনে নান্দনিক কাউচে বসে দর্শনার্থীরা উপভোগ করতে পারবেন বেলা শেষে পদ্মার বুকে ডুবে যাওয়া সূর্যের রূপ।

ইশো বিচ ক্লাবে পাওয়া যাবে আরামদায়ক পরিবেশ

ইশো বিচ ক্লাবে পাওয়া যাবে আরামদায়ক পরিবেশ। 

এখানে থাকছে আরামদায়ক পরিবেশে মানসম্পন্ন দেশি-বিদেশি নানা পদের সুস্বাদু খাবার উপভোগের সুযোগ। রুচিশীলতার সঙ্গে খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি এর সাজসজ্জায় আছে নান্দনিকতার ছাপ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বাদের সঙ্গে দেশীয় ঘরানার মিশ্রণে তৈরি বিচ ক্লাবের মেন্যুতে পাওয়া যাবে হ্যান্ডক্রাফটেড বার্গার, অ্যাপিটাইজার, গ্রিল, এসোর্টেড প্ল্যাটার্স এবং রকমারি মকটেলস। আঞ্চলিক বাজারের দেশীয় মাছ ও বিদেশি সামুদ্রিক মাছের বিভিন্ন খাবারও পাওয়া যাবে এখানে।

২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ইশো ব্র্যান্ডটির একটি ভিন্ন আয়োজন এই পপ-আপ রেস্টুরেন্ট। পপ-আপ রেস্টুরেন্ট বলার কারণ হলো, এটিকে চাইলেই ভিন্ন জায়গায় সরিয়ে নিতে পারবেন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দেশে এই বৈশিষ্ট্যের কোনো রেস্টুরেন্ট নেই।

১৫ ফেব্রুয়ারি ইশো বিচ ক্লাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে উন্মুক্ত করা হয় রেস্টুরেন্টটি। আগামী ছয় মাস পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু থাকবে। ক্রেতাদের আনাগোনা, সেবা নিয়ে তাঁদের ভালো বা মন্দ লাগার ভিত্তিতে এই সময় আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইশো বিচ ক্লাবে আছে নিরিবিলি সময় কাটানোর আয়োজন

ইশো বিচ ক্লাবে আছে নিরিবিলি সময় কাটানোর আয়োজন। 

ইশোর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ানা হোসেন জানিয়েছেন, কোলাহলমুক্ত পরিবেশ উপভোগ করতে একজন ভোজন ও আরামপ্রিয় মানুষের জন্য ইশো বিচ ক্লাব স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা হতে পারে। নাগরিক কোলাহল পেছনে ফেলে একটুখানি শ্বাস নিতে পারা, আনন্দ উদ্‌যাপন ও সুন্দর কিছু স্মৃতি তৈরির জন্য ইশো বিচ ক্লাবটি ডিজাইন করা হয়েছে। মানসম্পন্ন খাবার ও সেবা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিচ ক্লাবটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আশা করেন তিনি।

আজকের পত্রিকা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com