মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে চাইলে আমেরিকান কলেজ টেস্টিং (এসিটি) অথবা স্কলাস্টিক অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট (এসএটি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। ঠিক তেমনিভাবে তুরস্কে পড়ার জন্য ইয়াবাঞ্জি উইরুকলু অরেঞ্জি সিনাভি (ইয়োস) নামে একটি পরীক্ষা দিতে হয় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের। ইয়োস হচ্ছে তুরস্কের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিজ খরচে পড়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা।
করেনার কারণে ২ বছর পরীক্ষাটি বন্ধ থাকলেও এ বছর আবার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্বভাবে এ পরীক্ষার আয়োজন করে। ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়, সুলেমান দেমিরেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এর আগে বাংলাদেশে এ পরীক্ষার আয়োজন করেছে। তবে এ বছর তুরস্কের প্রাচীন ও র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম সারির ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় কারাদেনিজ টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ভারত ও পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ইয়োস পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছে।
তবে এটা সহজ একটি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পাস করার মাধ্যমে সরাসরি কারাদেনিজ টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যাবে। এই সার্টিফিকেট দিয়ে আরও ২২টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি হওয়া যাবে। অল্প খরচে তুরস্কের প্রথম সারির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
এ পরীক্ষার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সব বিভাগ, আর্কিটেকচার, ফার্মেসি, মেডিসিন, লিটারেচারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষার্তীরা পড়াশোনা করতে পারবেন। তুরস্কে পড়াশোনার তিন ধরনের সুযোগ রয়েছে। শতভাগ টার্কিশ ভাষা, ৭০ ভাগ টার্কিশ ও ৩০ ভাগ ইংরেজি এবং শতভাগ ইংরেজি ভাষায় পড়া যায়। শতভাগ টার্কিশ ভাষায় পড়তে এক বছরের ভাষা কোর্স করতে হবে। এরপর নিজ বিভাগে এ পড়াশোনা শুরু হবে।
আর শতভাগ ইংরেজির জন্য বি–টু লেভেলের ইংরেজিতে দক্ষ হলেই চলবে। ভর্তি হওয়ার পর ডিপার্টমেন্ট শুরুর আগে ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার ফি মাত্র ২৫ ডলার। পরীক্ষায় পাস করার পর ভর্তির জন্য আর কোনো অতিরিক্ত খরচ নেই। শুধু সেমিস্টার ফি দিতে হবে, যা ডিপার্টমেন্টভেদে কমবেশি হতে পারে। টিউশন ফির তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা।