নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের আধার দ্বীপকন্যা চর কুকরি মুকরি। মেঘনার মোহনা ও বঙ্গোপসাগর ঘেরা, জলাভূমি বন বেষ্টিত এই দ্বীপকন্যার বালুময় সৈকতে আছড়ে পড়ে ঢেউ। লাল কাঁকড়ার ঝাঁক, গাঙচিলের জলকেলি আর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের। পুরোপুরি পর্যটকবান্ধব করা গেলে ভ্রমণের নতুন কেন্দ্র হতে পারে চর কুকরি-মুকরি।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ আর জলাভূমি বন ঘেরা জলপথ। মেঘনার সৈকতে আছড়ে পড়ে ঢেউ।
দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে তেতুঁলিয়া ও পুর্বদিকে প্রমত্তা মেঘনা। নারিকেল বাগান, তারুয়ার চর ও বিস্তীর্ণ বালুময় এই চরে গোধূলির সূর্য পাটে নামে লাল আভা ছড়িয়ে।
তারুয়ার চর জুড়ে নান্দনিক লাল কাকঁড়ার বিচরণ। দিনভর তাদের ছোটাছুটি দেখেই সময় কাটানো যায়। খানিক পরপরই চোখে পড়ে ডানা মেলা গাঙচিলের দল।
এই জলপথে যাতায়াতের মাধ্যম নৌকা ও স্পিডবোট। জলের পথ কেটে সৈকতে পৌঁছানোর পর রাত কাটাতে চাইলে তাঁবুই ভরসা। ইকোট্যুরিজমের অংশ হিসেবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে প্রকৃতিকে উপভোগের এ এক দারুন আয়োজন।
পর্যটকদের জন্য যাতায়াত, আবাসন’সহ সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ ট্যুর অপারেটরদের। ইকো ট্যুরিজমের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চর কুকরি মুকরিকে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
পর্যটন বান্ধব করার পাশাপাশি চর কুকরি মুকরির পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার তাগিদও দেন সংশ্লিষ্টরা।