বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ অপরাহ্ন

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সাজেক ভ্যালি

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩

সাজেক উপত্যকা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থল। রাঙ্গামাটির একেবারে উত্তরে অবস্থিত এই  সাজেক  ভ্যালিতে রয়েছে দুটি পাড়া-রুইলুই এবং কংলাক। ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত ১,৭২০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত আর কংলাকপাড়া ১,৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি রুইলুইপাড়া,হামারিপাড়া এবং কংলাকপাড়া এ তিনটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত। ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুইপাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৭২০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত আর কংলাক পাড়া ১,৮০০ ফুট উচ্চতায় কংলাক পাহাড়ে অবস্থিত। সাজেকে মূলত লুসাই, পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা উপজাতি বসবাস করে। রাঙ্গামাটির অনেকটা অংশ  দেখা যায় সাজেক ভ্যালি থেকে। এইজন্য সাজেক ভ্যালিকে রাঙ্গামাটির ছাদ বলা হয়। সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলার সর্ব উত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আর দীঘিনালা থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিনে রাঙ্গামাটির লংগদু,পূর্বে ভারতের মিজোরাম,পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত। সাজেক ইউনিয়ন হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল।  এখানে  সাজেক বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে।

রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান সমূহ

১. কাপ্তাই লেক

২. কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান

৩. পেদা টিং টিং

৪. সুবলং ঝর্ণা

৫. চাকমা রাজার বাড়ি

৬. কর্ণফুলী পেপার মিলস্

৭. চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার

৮. সাজেক ভ্যালি

৯. ঝুলন্ত ব্রিজ

১০. উপজাতীয় জাদুঘর

১১. টুকটুক ইকো ভিলেজ

১২. রাজবন বিহার

১৩. ফুরমোন পাহাড়

১৪. নৌবাহিনী পিকনিক স্পট

১৫. রাজস্থলী ঝুলন্ত ব্রিজ

১৬. ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা

কিভাবে যাবেন সাজেক ভ্যালি ( ভ্রমন প্ল্যান )

  • কিছু প্রশ্ন-উত্তর
  • ভ্রমন প্ল্যান
  • পরিবহন ভাড়ার তথ্য
  • রিসোর্ট বুকিং সংক্রান্ত তথ্য
  • খাবার ব্যবস্থা
  • সাজেকে দেখার যা যা আছে
  • খাগড়াছড়িতে দেখার যা যা আছে
  • দিঘীনালায় দেখার যা যা আছে
  • ভ্রমন সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ

কিছু প্রশ্ন-উত্তর

১। সাজেকে ভ্রমনের সেরা সময়?

বর্ষার পর শীতের আগে শরৎ-হেমন্ত ( আগষ্ট-নভেম্বর ) সাজেক ভ্রমনের জন্য সেরা সময়। এছাড়াও সারা বছরই সাজেক ভ্রমন করা যায়।

২।সাজেকের সেনাবাহিনীর এসকোর্ট কখন শুরু হয়?

দিঘীনালা থেকে সকাল ১০টা এবং বিকাল ৩টায় এসকোর্ট শুরু হয়। সাজেক থেকেও একইভাবে সকাল ১০টা এবং বিকাল ৩টায় এসকোর্ট শুরু হয়। এসকোর্ট ছাড়া একা সাজেক যাওয়া যায় না। বিকালের এসকোর্ট মিস হলে সেদিন আর সাজেক যেতে পারবেন না।

৩। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার লোকাল কোন ট্রান্সপোর্ট আছে?

না। খাগড়াছড়ি থেকে জীপ/সিএনজি/বাইক রিজার্ভ করে সাজেক যেতে হয়। ২-৬  জনের গ্রুপ হলে অন্য কোন গ্রুপের সাথে মিলিয়ে জীপ রিজার্ভ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

৪।সাজেকে নিজস্ব গাড়ি বা বাইক নিয়ে যাওয়া যায়?

যাওয়া যায়। তবে পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলে নিজস্ব গাড়ি নিয়ে না যাওয়াই উত্তম। বাইকে যাওয়া যায় যদি নিজের চালানোর ওপর ভরসা থাকে। মনে রাখবেন,খাগড়াছড়ির পর আর কোন ফিলিং স্টেশন নেই।

ভ্রমন প্ল্যান

প্লান – ১

  • ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি
  • খাগড়াছড়ি থেকে দিঘীনালা অথবা খাগড়াছড়ি থেকে সরাসরি জীপ ভাড়া করতে পারেন
  • দিঘীনালা থেকে জীপ ভাড়া করে সাজেক
  • সাজেকে যতদিন ইচ্ছা থেকে বিকালের এসকোর্টে খাগড়াছড়ি অথবা দিঘীনালা এসে বাস ধরতে পারেন।

প্লান-২

  • ঢাকা থেকে দিঘীনালা
  • দিঘীনালা থেকে জীপ ভাড়া করে সাজেক
  • সাজেকে যতদিন ইচ্ছা থেকে বিকালের এসকোর্টে খাগড়াছড়ি অথবা দিঘীনালা এসে বাস ধরতে পারেন।

প্লান-৩

  • ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি
  • খাগড়াছড়ির সব পর্যটন স্পট দেখে বিকালের এসকোর্টে সাজেক।
  • সাজেকে যতদিন ইচ্ছা থেকে বিকালের এসকোর্টে খাগড়াছড়ি অথবা দিঘীনালা এসে বাস ধরতে পারেন।

পরিবহন ভাড়ার তথ্য

  • ঢাকা-খাগড়াছড়িঃ ৫২০ টাকা ( নন-এসি )
  • ঢাকা-খাগড়াছড়িঃ ৬০০ টাকা ( সেন্টমার্টিন পরিবহন নন-এসি বিজনেস ক্লাস )
  • ঢাকা-খাগড়াছড়িঃ ৯০০ টাকা ( এসি ইকোনমি ক্লাস )
  • ঢাকা-খাগড়াছড়িঃ ১২০০ টাকা ( শ্যামলী এসি বিজনেস ক্লাস )
  • ঢাকা-খাগড়াছড়িঃ ১৩০০ টাকা ( রিলাক্স এসি বিজনেস ক্লাস )
  • ঢাকা-দিঘীনালাঃ ৫৮০ টাকা ( নন-এসি )

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালি যাওয়ার চান্দের গাড়ি/জীপ গাড়ীর ভাড়ার তালিকা

স্থান সমূহ প্রকৃত ভাড়া মন্তব্য

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

৫৪০০ টাকা

দিনে আসা-যাওয়া

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

৬৬০০ টাকা

সাজেকে ১ রাত থাকা

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

৮১০০ টাকা

সাজেকে ১ রাত থাকা ( খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা,রিসাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ দেখা )

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

৯০০০ টাকা

সাজেকে ২ রাত থাকা

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

১০৫০০ টাকা

সাজেকে ২ রাত থাকা ( খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা,রিসাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ দেখা )

দেবতা পুকুর, আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্ণা, তারেং, ঝুলন্ত ব্রিজ

৪৫০০ টাকা

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত

জীপ মালিক সমিতি,যোগাযোগ- ০১৬৪১-৬৪৪২৪৪

জীপ ভাড়া সংক্রান্ত পরামর্শ

  • খাগড়াছড়িতে জীপের কাউন্টার আছে সেখানে জীপ পাবেন এবং ভাড়া নির্ধারণ করা । যদি আপনি দুই রাতের বেশি থাকতে চান সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত কত দিতে হবে তা আগেই জেনে নিবেন।
  • জীপে ১০-১২ জন উঠা যায়।
  • এমনিতে সাজেকে যাওয়ার জীপ খাগড়াছড়ি/দিঘীনালাতে গিয়েই পাওয়া যায়। তবে ছুটির দিনে গেলে অনেক দিন থাকে সেক্ষেত্রে পাওয়া নাও যেতে পারে।
  • খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতে সময় লাগে ৩ ঘন্টার মতো আর দীঘিনালা থেকে ২ঃ৩০ ঘন্টা।
  • ছোট গ্রুপ হলে জিপের কাউন্টারে গিয়ে অন্য গ্রুপের সাথে মিলে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এতে  রিজার্ভ করার খরচ বেঁচে যাবে।

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালি যাওয়ার সিএনজি ভাড়ার তালিকা

স্থান সমূহ প্রকৃত ভাড়া মন্তব্য

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

২১০০ টাকা

শুধু যাওয়া

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

৩০০০ টাকা

দিনে আসা-যাওয়া

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

৩৯০০ টাকা

সাজেকে ১ রাত থাকা

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

৪৯০০ টাকা

সাজেকে ১ রাত থাকা ( খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা,রিসাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ দেখা )

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

৪৯০০ টাকা

সাজেকে ২ রাত থাকা

খাগড়াছড়ি হতে সাজেক

৫৯০০ টাকা

সাজেকে ২ রাত থাকা ( খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা,রিসাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ দেখা )

শ্রমযান কল্যান সমিতি ( সিএনজি ),যোগাযোগ-০১৮৪১-০৪৮২০০,০১৮৪১-০৪৮২১১

সিএনজি ভাড়া সংক্রান্ত পরামর্শ

  • যদি আপনি দুই রাতের বেশি থাকতে চান সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত কত টাকা দিতে হবে তা আগেই জেনে নিবেন।
  • সিএনজিতে ৪ জন উঠা যায়।সামনে ১ জন,পেছনে ৩ জন।
  • ছোট গ্রুপ হলে জিপের কাউন্টারে গিয়ে অন্য গ্রুপের সাথে মিলে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এতে  রিজার্ভ করার খরচ বেঁচে যাবে।

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকে বাইক ভাড়া সংক্রান্ত পরামর্শ

  • একা/দুইজন হলে বাইকে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে খাগড়াছড়ি থেকে না উঠে দীঘিনালা থেকে ওঠা ভালো। বাইকে দিঘীনালা থেকে সাজেক ১২০০-১৫০০ টাকা পড়বে। এক বাইকে দুইজন উঠতে পারবেন।
হোটেল ও রিসোর্ট সংক্রান্ত তথ্য

সাজেকে থাকার অনেক রিসোর্ট রয়েছে। জনপ্রিয় কিছু রিসোর্টের তালিকা নিচে দেয়া হলো।

রিসোর্টের তালিকা

১। মেঘমাচাং

ভাড়াঃ

  • ব্যাম্বু কটেজ – ৩৫০০ টাকা ( বন্ধের দিন ব্যতীত অন্যান্য দিন )
  • ব্যাম্বু কটেজ – ৪০০০ টাকা ( বন্ধের দিন )
  • উডেন কটেজ – ৪০০০ টাকা ( বন্ধের দিন ব্যতীত অন্যান্য দিন )
  • উডেন কটেজ – ৪৫০০ টাকা ( বন্ধের দিন )

২। মেঘপুঞ্জি

ভাড়াঃ

  • তারাশা – ৪৫০০ টাকা
  • পূর্বাশা – ৪০০০ টাকা
  • রোদেলা – ৪০০০ টাকা
  • মেঘলা – ৪০০০ টাকা

৩। জুমঘর ইকো রিসোর্ট

ভাড়াঃ ৪০০০ টাকা

৪। অবকাশ

ভাড়াঃ

  • নিচতলা – ২৫০০ টাকা
  • দোতলা – ৩০০০ টাকা
  • তিনতলা – ৩০০০ টাকা

৫। সাম্পারি

ভাড়াঃ

  • কাপল রুম – ২৫০০ টাকা
  • কাপল কটেজ – ৩৫০০ টাকা
  • ২ বেডের রুম – ৩৫০০ টাকা
  • ৩ বেডের রুম – ৪০০০ টাকা

৬। চাঁদের বাড়ি

ভাড়াঃ

  • প্রিমিয়াম কটেজ – ৪০০০ টাকা ( বন্ধের দিন )
  • প্রিমিয়াম কটেজ – ৩৫০০ টাকা ( বন্ধের দিন ব্যতীত অন্যান্য দিন )
  • ইকোনমি কটেজ – ৩৫০০ টাকা ( বন্ধের দিন )
  • ইকোনমি কটেজ – ৩০০০ টাকা ( বন্ধের দিন ব্যতীত অন্যান্য দিন )

৭। সারা নীলকুঠির

ভাড়াঃ

  • মেঘমায়া ( নিচতলা ) – ৫০০০ টাকা
  • নীলাম্বরি ( নিচতলা ) – ৫০০০ টাকা
  • চন্দ্রিমা ( দোতলা ) – ৫০০০ টাকা
  • মেহেরাজ ( দোতলা ) – ৫০০০ টাকা

৮। সুমুই ইকো কটেজ

ভাড়াঃ ৪০০০ টাকা

৯। আদ্রিকা ইকো কটেজ

ভাড়াঃ

  • ছুটির দিন – ৪০০০ টাকা
  • ছুটির দিন ছাড়া – ৩৫০০ টাকা

১০। লক্ষন কটেজ সালকা

ভাড়াঃ

  • এক্সক্লসিভ রুম – ৩৫০০ টাকা
  • রেগুলার ( ডাবল বেড ) রুম – ৩৫০০ টাকা ( ছুটির দিন )
  • রেগুলার ( ডাবল বেড ) রুম – ২৫০০ টাকা ( ছুটির দিন ছাড়া )

১১। ছায়ানীড়

ভাড়াঃ

  • প্রিমিয়াম রুম – ৩৫০০ টাকা
  • স্ট্যান্ডার্ড রুম – ৩০০০ টাকা

১২। ম্যাডভেঞ্চার

ভাড়াঃ

  • কাপল প্রিমিয়াম রুম – ৪০০০ টাকা
  • কাপল ক্লাসিক রুম – ৩৫০০ টাকা
  • ডাবল ক্লাসিক রুম – ৩৫০০ টাকা
সাজেক ভ্যালি
Runmoy Resort, Sajek Valley

সেনাবাহিনীর ২ টি রিসোর্ট

১। সাজেক রিসোর্ট

সাজেক রিসোর্ট এর দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষ আছে ভিআইপি কক্ষ ১৫০০০ টাকা অন্য একটি কক্ষ ১২০০০ টাকা অপর দুটি ১০০০০ টাকা করে। এখানে খাবারের ব্যবস্থা আছে।

যোগযোগ – ০১৮৫৯-০২৫৬৯৪

২। রুন্ময় রিসোর্ট

রুন্ময় রেসোর্টের নিচতলায় তিনটি কক্ষ আছে। প্রতিটির ভাড়া ৪৪৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে দুইজন থাকতে পারবেন। এখানে ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। চারটি তাবু আছে প্রতি তাবুতে ২৮৫০ টাকা দিয়ে ৪ জন থাকতে পারবেন।

যোগযোগ – ০১৮৬২-০১১৮৫২

রুইলুইপাড়ার ক্লাব হাউস

সাজেকের একটু আগে রুইলুইপাড়াতে অবস্থিত এবং এখানে ১৫ জনের মতো থাকতে পারবেন। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে দিতে হবে। নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন। এর কেয়ার টেকার মইয়া লুসাই দাদা সব ব্যবস্থা করে দিবেন। লক্ষণ নামের একজন আছে প্রয়োজনে আপনাদের সহযোগিতা করবে। এখানে দুইটি টয়লেট আছে, একটি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন অন্যটির জন্য ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে।

মইয়া লুসাই – ০১৮৩৮-৪৯৭৬১২, ০১৮৭২-৪৬৮৯৪২

লক্ষন – ০১৮৬০-১০৩৪০২

রিসোর্ট বুকিং সংক্রান্ত পরামর্শ

  • ছুটি দিন অতিরিক্ত ভীড় হতে পারে এমন দিন ব্যতীত অন্য সময় আগে থেকে রিসোর্ট বুকিং দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সাজেকে অনেক রয়েছে সেখানে গিয়েই রিসোর্ট বুকিং করতে পারবেন। তবে পরিবার বা বড় গ্রুপ হলে আগে থেকে বুকিং করে যাবেন।
  • রুম থেকে ভালো ভিউ পাওয়া যায় এমন রিসোর্টে থাকার চেষ্টা করবেন।
  • এখানে রিসোর্টের যে ভাড়া উল্লেখ করা আছে তা পরিবর্তন হতে পারে তাই যাওয়ার পূর্বে ফোন করে জেনে নিবেন।

খাবার ব্যবস্থা

খাবার খরচ আপনার চাহিদা অনুযায়ী ১০০-২৫০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।

  • ভাত,ডাল,দেশি মুরগি,সবজি – ১৮০ টাকা।
  • রক ক্যান্টিনে,বারবিকিউ – একপিচ মুরগি ২৫০ টাকা। পরোটা ১০ টাকা।
  • পাহাড়ি হোটেলে,বারবিকিউ – এক পিস মুরগি ২০০ টাকা।পরোটা ১০ টাকা।

খাবার সংক্রান্ত পরামর্শ

সাজেকে খাবার রান্না করা থাকে না। যখনই খাবেন ১-২ ঘণ্টা আগে খাবার অর্ডার করে রাখতে হবে। সাজেক যাওয়ার সময় যেখানে থাকবেন তাদের বললে অথবা জীপ ড্রাইভারকে বললে খাবারের ব্যবস্থা করে রাখবে। সাজেকে সবকিছুই পাওয়া যায় তবে দাম একটু বেশি পানি বা অন্যান্য দরকারি জিনিস দীঘিনালা থেকে কিনে নিতে পারেন।

সাজেকে দেখার যা আছে

  • রুইলুই পাড়া
  • কংলাক পাড়া
  • কংলাক ঝর্ণা
  • হেলিপ্যাড-১,২
  • এছাড়াও দেখার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর  রিসোর্ট রয়েছে। যেমন – মেঘমাচাং, মেঘপুঞ্জি, জুমঘর কটেজ, সাজেক ভ্যালি রিসোর্ট, রুন্ময় রিসোর্ট,  স্টোন গার্ডেন ইত্যাদি।

খাগড়াছড়িতে দেখার যা আছে

  • রিসাং ঝর্ণা
  • আলুটিলা গুহা
  • সিস্টেম রেস্তোরাঁ
  • পর্যটন মোটেল

দিঘীনালাতে দেখার যা আছে

  • হাজাছড়া ঝর্ণা
  • ঝুলন্ত ব্রিজ
  • দিঘীনালা বনবিহার
  • তৈদুছড়া ঝর্ণা
  • সিজুক ঝর্ণা

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ

  • বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে ছবি তোলা নিষেধ।
  • সাজেকে আমরা অতিথি, পাহাড়িদের সংস্কৃতিতে আঘাত লাগে এমন কিছু করবেন না।
  • কংলাক পাহাড়ে সবাই উঠতে পারে। তবে বৃষ্টি হলে পথ পিচ্ছিল হয়ে থাকে। বৃষ্টির সময় বা এমনি সময় অবশ্যই বাঁশের লাঠি হাতে করে উঠবেন।
  • কংলাক ঝর্না যাওয়ার সময় অনেক খাড়া পাহাড় আছে ট্রেকিং এর অভ্যাস না থাকলে যাবেন না।
  • হাজাছড়া ঝর্ণার উপরে উঠলে বুঝেশুনে উঠবেন। এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।
  • রিসাং ঝর্ণায় স্লাইড কাটার সময় সাবধান থাকবেন। এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।
  • অনেক সাহসী কিছু করতে গিয়ে গ্রুপের সকলকে বিপদে ফেলবেন না।
  • সাজেকের বিভিন্ন জায়গায় ময়লা ফেলার ঝুড়ি আছে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না।
  • প্রতি বেলার খাবার আগে থেকে অর্ডার দিতে হবে।
  • শুধু রবি সিমের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
  • সাজেকে ইলেকট্রিসিটি নাই, জেনারেটর আছে।
  • চাঁদের গাড়ির ছাদে যাওয়ার সময় সাবধান থাকবেন। একটু অসাবধানতার কারণে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে।
  • ছেলে বা মেয়েদের গ্রুপ হোক সাজেকে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নেই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com