1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আন্ধারমানিক
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপনের সুযোগ মিলবে দুই মাস, দিনে ২ হাজারের বেশি পর্যটক নয় এশিয়ার ৭ দেশ, যেখানে হেঁটে ভ্রমণ কষ্টকর নাগরিকত্ব নিয়মে বড় পরিবর্তন, বিদেশিদের জন্য কানাডার নতুন সুখবর ঢাকা এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর প্রস্তুত ট্রাম্পের গোল্ড কার্ডের খসড়া,কী সুবিধা থাকছে নতুন অফারে অ্যামাজন–আলিবাবা ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন দেশের রপ্তানিকারকরা কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়া আরও সহজ হচ্ছে ডিসেম্বরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া যাত্রীদের দ্রুতগতির স্টারলিংক ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা দেবে এমিরেটস-ফ্লাই দুবাই
Uncategorized

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আন্ধারমানিক

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

রহস্যময় ও প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা বাদরবান জেলার আন্ধারমানিক। এটি বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার বড় মদক জেলায় অবস্থিত। নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রায়ই এখানে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যায় না। এর বড় একটি কারণ হলো বড় মদকের পর আর কোনো সেনা বা বিজিবি ক্যাম্প এখানে নেই। তারপরও ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের থামিয়ে রাখা যায়নি। আন্ধারমানিকের অন্ধকারই যেন হাতছানি দিয়ে টেনে নিয়ে যায় সকলকে।

এখানে যেতে চাইলে প্রথমে দলিয়ান পাড়া থেকে রেমাক্রি ও ছোট মদক হয়ে বড় মদক আসতে হবে। রেমাক্রির পরে এই রাস্তায় পর্যটকরা খুবই কম যায়। তবে হঠাৎ যারা যান তারা থানচি অথবা রেমাক্রি হয়ে ট্রলারে করে যান। রেমাক্রি থেকে ৮ ঘণ্টার পথ হাঁটতে হয়। প্রথম ৬ ঘণ্টার রাস্তা উঁচু-নিচু ও নদীর পার ধরে যেতে হয়। বাকি ২ ঘণ্টার পথ পাহাড়ি ও ঝোপঝাড় পূর্ণ। এই ৮ ঘণ্টার পথ যেভাবেই হোক সন্ধার আগে পৌঁছাতে হয় কারণ শেষের পথটুকু খুব ঝুঁকিপূর্ণ।

আন্ধারমানিকে যাওয়ার পথে কোনো বাঙালির দেখা পাওয়া যায় না। খৈসাপ্রু ও চাখাই পাড়ার পর সিঙ্গাফা ও ঠাণ্ডা ঝিরি সাঙ্গু নদীতে যেয়ে মিলেছে। তার কিছুটা পরেই তুরগ ঝিরি। এখান থেকে আবার পাহাড়ি পথ শুরু। এই পথের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল শুকনো পাতা পরে থাকার ফলে অনেক জায়গায় মনে হয় যে মাটি, তবে পা দেয়ার পর বোঝা যায় যে সেখানে পানি। তাই দেখে শুনে চলতে হয়।

বড় মদক পৌঁছে বিজিবি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে তারপর আন্ধারমানিকের দিকে এগোতে হয়। বড় মদক থেকে আন্ধারমানিক যাওয়ার জন্য নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়।

আন্ধারমানিকের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ নারেসা ঝিরি। এই ঝিরির দুই পাশে পাথরের দেয়াল (যা প্রায় ৬০/৭০ ফুট উঁচু) সমান্তরালভাবে চলে গেছে অনেক দূর পর্যন্ত। এটা দেখলে মনে হয় যেন পাহাড়ের গায়ে কংক্রিটের ঢালাই দেয়া। প্রকৃতির এক অদ্ভুদ সৃষ্টি এই আন্ধারমানিক। সূর্যের আলো এখানে কম পৌঁছে এজন্য জায়গাটি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। খুব সম্ভবত এই কারণেই এই নাম দেয়া হয়েছে। পাহাড়ি রূপ, ঝর্ণা, পাথর আর পাহাড় মিলে সৃষ্টি হয়েছে আন্ধারমানিকের নৈসর্গিক সৌন্দর্য।

যেভাবে যাবেন:

আন্ধারমানিক যেতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে যেতে হবে বান্দরবান। সেখান থেকে থানচি উপজেলা পৌঁছাতে হবে। থানচি থেকে আন্ধামানিক যাবার জন্য ট্রলার ভাড়া পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com