নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমটিার দূরে অবস্থিত ধুলিখেল। প্রায় পনেরশ মিটার উচ্চতার ও পাঁচশ বছরের ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন ধারণ করে থাকা ধুলিখেল নেপালের কালচারাল থিম পার্ক নামেই খ্যাত।
শুধু প্রকৃতি আর হিমালয়কে নিয়ে একটা গোটা দিন কাটিয়ে দেওয়ার পক্ষে ধুলিখেল এক দারুণ জায়াগা। ধুলিখেল শৈলশহরের উচ্চতা প্রায় ৫,৫০০ফুট। মেঘ – কুয়াশা না থাকলে এখান থেকে নেপাল হিমালয়ের বেশ কয়েকটি শৃঙ্গ দেখা যায়।
সূর্যোদয় দেখার জন্য কাঠমন্ডু থেকে, শেষ রাতে বেরিয়ে অনেক পর্যটক এখানে এসে হাজির হন। এখান থেকে সূর্যদয় ও সূর্যাস্ত দুই দেখা মেলে বেশ মনোরমভাবে। এতোসব আয়োজনের পরও যারা আরো একটু রোমাঞ্চকর অভিযান চান তাদের জন্য রয়েছে খরস্রোতা ত্রিশূল নদীর উপর রিভার র্যাফটিং এর ব্যবস্থা।
শুধু হিমালয়ের শোভাই নয় ধুলিখেল শহর এবং ধারে-কাছে রয়েছে বেশ কিছু দ্রষ্টব্য। শহরের অধিবাসীরা বেশ মিশুকে এবং অতিথিবৎসল। ধুলিখেল শহর এর পুরনো অংশে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মন্দির – যেমন বিষ্ণু মন্দির এবং পাহাড়ের কোলে রয়েছে কালীমন্দির।
কিভাবে যাবেনঃ কাঠমান্ডু এর রত্না পার্ক বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতি ঘন্টায় বাস ছাড়ে ধুলিখেল যাওয়ার। বাসে ভাড়া পড়বে ৬০ রুপীর মত।
কোথায় থাকবেনঃ ধুলিখেলে থাকার জন্যে ভালো মানের হোটেল রয়েছে। আপনার পছন্দ অনুসারে হোটেল বাচাই করে নিতে পারেন।