সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২৪০০ ফুট উঁচুতে অবস্থান হওয়ার কারণে মেঘ একদম কাছ থেকে দেখা যায়। আর একারণেই বান্দরবানের নীলগিরির অবস্থান ভ্রমণ পিয়াসুদের কাছে অন্যরকম। খুব সহজেই মেঘ ছোঁয়া যায় বলে একে বাংলাদেশের দার্জিলিংও বলা হয়ে থাকে।
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে দাড়িয়ে যেদিকে দুচোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। চারিদিকে সবুজের সমারোহ আর নির্জনতা নীলগিরির অন্যতম আকর্ষণ। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই এই নীলগিরি সবার কাছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৈরি এবং তারাই এটি রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
আর এখানে সেনাবাহিনীর হাতেই গড়ে উঠেছে নীলগিরি হিল রিসোর্ট। সাজানো গোছানো এই রিসোর্টে রাতের আকাশে জোছনা দেখার এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। তাছাড়া এখানকার চারপাশের শুভ্র মেঘের উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য যে কাউকে বিমোহিত করবে। এখানে চারিদিকে চোখে পড়বে পাহাড় আর পাহাড়। এ যেন এক অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
নীলগিরি হিল রিসোর্টে মেঘদূত, আকাশনিলা, মারমা, নীলছায়া, ইখিয়া, মরুইফং নামে ছোট বড় মোট আটটি কটেজ রয়েছে। এই রিসোর্টগুলোতে থাকতে হলে গুনতে হবে ৬ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা। এখানে থাকতে চাইলে অবশ্যই আগে থেকে বুকিং দিতে হবে। এখানে বুকিং দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার পর্যায়ের পরিচিত কর্মকর্তার রেফারেন্স লাগে। আর রিসোর্টটি জমজমাট হওয়ার ফলে ছুটির দিনগুলোতে এখানে আসতে চাইলে মাস খানেক আগে বুকিং দিতে হয়।
যেভাবে যাবেন:
দুই ভাবে নীলগিরি যাওয়া যায় এক ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নীলগিরি চলে যাওয়া। দ্বিতীয়ত সরাসরি ঢাকা থেকে বান্দরবান গিয়ে লোকাল ট্রান্সপোর্টে করে নীলগিরি পৌঁছানো। নীলগিরি রিসোর্টের অবস্থান অনেক উঁচুতে হবার কারণে পাহাড়ের গাঁ বেয়ে উঠতে ‘চান্দের গাড়ি’ নামক জীপ গাড়ি ব্যবহার করা হয়। ‘চান্দের গাড়ি’ বান্দরবান শহর থেকে খুব সহজেই পাওয়া যায়।