1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
নিরীক্ষা ছাড়া আমেরিকায় প্রবেশকারীদের ইচ্ছা করলেই আটক
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪১ অপরাহ্ন

নিরীক্ষা ছাড়া আমেরিকায় প্রবেশকারীদের ইচ্ছা করলেই আটক

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কারণ হলো যত বেশি লোক ডিটেনশনে থাকবে, যত বেশি দিন থাকবে, ততদিন এই প্রিজন সিস্টেম অনেক লাভ হবে।’ বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস-বিআইএ ইমিগ্রেশন বিচারকদের বন্ড শুনানি নিয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে। সে বিষয়ে টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অ্যাটর্নি অশোক কে কর্মকার।

টিবিএন: এই যে সাম্প্রতিক বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস বা যেটাকে আমরা বিআইএ বলি, এর নির্দেশনা অনুযায়ী ইমিগ্রেশন বিচারকরা যে বন্ড শুনানি করতে পারবেন না, এটির মূল আসলে কী বা মূল বক্তব্যটা কী? দুই নম্বর যে প্রশ্নটি থাকবে, এটি কি কেবল নির্দিষ্ট ধরনের মামলার জন্য প্রযোজ্য নাকি সব ধরনের ডিটেনশন কেসে এর প্রভাব পড়বে? তিন নম্বর যে প্রশ্নটি করছি, ডিপোর্টেশন বা রিমুভাল প্রক্রিয়ার সঙ্গে এই নতুন নিয়মের সম্পর্ক কীভাবে তৈরি হবে এবং চার. এই পরিবর্তনের ফলে অ্যাসাইলাম সিকার যারা আছেন, তাদের পরিস্থিতি কী রকম হবে? তাদের জন্য কি একটি বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে?

অশোক কর্মকার: ধন্যবাদ। আপনার প্রশ্নগুলো খুবই স্বাভাবিক। আমার ধারণা হলো যে, আমরা যে আলোচনা করছি, সে আলোচনাটা মানুষের জন্য, সবার জন্য এত সুখদায়ক কিছু না। কিছু অবশ্যই আরও নতুন করে সমস্যা বাড়াচ্ছেই মাত্র। সেগুলো একটু অ্যাওয়ার করা মানুষকে। এত প্যানিকড হওয়ার কিছু নেই। আমি একটু পরে বলছি কেন।

প্রথমত হলো যে, বিআইএ যে রায়টা দিল, রায় আসলে দুটো রায় হয়েছে…একটা যেখানে বলা হয়েছে, জাজদের কোনো জুরিসডিকশন নাই আপনার যে বন্ড হিয়ারিং করা, তবে এখানে একটা কথা আছে বন্ড হিয়ারিং। সব বন্ড হিয়ারিং কিন্তু বলা হয়নি। বলা হয়েছে যারা এ দেশে ইন্সপেকশন (নিরীক্ষা) ছাড়া ঢুকেছেন, এন্টার্ড উইদাউট ইনসপেকশন, তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। প্রযোজ্য যে তাদেরকে ইচ্ছা করলেই ডিএইচএস ডিটেশনে রাখতে পারে ম্যান্ডেটরিভাবে এবং তাদেরকে যদি এটা বন্ডি হেয়ারিং করার প্রশ্ন আগে উঠত, সেখানে কোর্টের আর কোনো জুরিসডিকশন থাকবে না। এটা আসলে আইসের একটা প্ল্যান ছিল। গত জুলাই মাস থেকে তারা এটা চেয়েছিল এবং এটা শেষ পর্যন্ত এখন যেটা হয়েছে, সেটা ফাইনালাইজ হলো।

মানে ইমিগ্রেশন কোর্টের যখন ডিসিশনটাকে আপনার অ্যাপিলেট অথরিটি যেটা বিআইএ বলে, মানে বোর্ড অফ ইমিগ্রেশন অ্যাপিল আমরা যেটাকে বলি, সেখানে যাওয়ার পরে বোর্ড এ দুটো রায়ের মাধ্যমে তারা বন্ড প্রসিডিংসকে বলেছেন যে, তারা বন্ড প্রসিডিংসে তারা যেতে পারবেন না। বিশেষ করে ইমিগ্রেশন কোর্ট দিতে পারবে না, তবে একটাই যারা এ দেশে ইন্সপেকশন ছাড়া ঢুকেছেন। এখন কথা হলো যে, এরা কারা? এতে বিরাট অংশই যে ১২ মিলিয়নের মতো যারা এ দেশে আছে বিভিন্নভাবে, আমরা বলি উইদাউট ডকুমেন্টেশন। তাদের বিরাট অংশই কিন্তু এটার মধ্যে পড়তে পারে। তার কারণ হলো যারা বৈধভাবে এসেছেন, যারা বিওয়ান, বিটু, এফওয়ান বা অন্য কোনোভাবে এদেশে ইন্সপেক্টেড হয়ে এসেছেন, তার মানে দাঁড়াচ্ছে, যারা এ দেশে ভিসা নিয়ে এসেছেন, তারা কিন্তু এর আওতায় পড়ছেন না। সুতরাং তাদের জন্য এটা মোটেও পেনিকিং কিছু না।

যারা এ দেশে মানে ইন্সপেকশন ছাড়া এসেছেন, তার মানে দাঁড়াচ্ছে, এখন যারা ঢুকছেন, তারাই শুধুমাত্র না, অনেক বছর আগেও যারা ঢুকেছেন, তাদের যদি কোনো কারণে আইস ডিটেনশনে নেয়, ডিটেনশন নেওয়ার মতো কারণ যদি হয়। সবাইকে তো নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

আপনারা জানেন যে বিগ বিউটিফুল বিলে যে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে আইসের জন্য বরাদ্দ করা আছে, এগুলো মূলত বরাদ্দ করা আছে যে নতুন করে ডিটেনশন সেন্টার করা হবে। এখানে এক লাখ মানুষকে তারা ডাবল, অর্থাৎ বর্তমানে যে ক্যাপাসিটি আছে, তাকে ডাবল করা হবে এবং তার ফলে তাদেরকে সেখানে রাখা যাবে। এটা নিয়ে অনেক কথা আছে। যেমন: এগুলো হয়তো যে এ দেশে আপনারা জানেন যে প্রিজন সিস্টেম বা ডিটেনশন সেন্টার সেগুলো কিন্তু সরকারি ফ্যাসিলিটি না মোস্ট অফ দা টাইম। সেগুলো একটা, মানে, বেসরকারি; প্রাইভেট বিজনেস। সেটাকে হয়তো অনেকটা প্রমোটেড হয়ে যাবে এর মাধ্যমে।

কারণ হলো যত বেশি লোক ডিটেনশনে থাকবে, যত বেশি দিন থাকবে, ততদিন এই প্রিজন সিস্টেম অনেক লাভ হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com