বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন

নিঝুম দ্বীপ তার নির্জনতা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়

  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪
নিঝুম দ্বীপ (Nijhum Dwip) বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ছোট দ্বীপ। এটি মূলত বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত। নিঝুম দ্বীপ একটি নির্জন দ্বীপ, যার নামেই এটি পরিচিত। এটি প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের আধার এবং পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।
নিঝুম দ্বীপের অবস্থান ও পরিবেশ
নিঝুম দ্বীপ মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন, তাই এখানে মানুষের সংখ্যা কম। এই দ্বীপে মানুষের স্থায়ী বসতি নেই বললেই চলে এবং সাধারণত মৎসজীবী ও পর্যটকরাই এখানে বেশিরভাগ সময় অবস্থান করে। দ্বীপটি সবুজ বনভূমি, সরল সমুদ্রসৈকত এবং বন্যপ্রাণীতে সমৃদ্ধ। এখানে কেওড়া গাছের বন রয়েছে, যা দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
বন্যপ্রাণী
নিঝুম দ্বীপে বাংলাদেশি বন্য হরিণের অন্যতম বৃহত্তম অভয়ারণ্য রয়েছে। এছাড়াও শীতকালে এখানে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি আসে। এই দ্বীপে হরিণের সংখ্যা প্রচুর এবং এটি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে সংরক্ষিত একটি অভয়ারণ্য হিসাবে বিবেচিত। দ্বীপে রয়েছে বিভিন্ন জাতের কুমির, সাপ, এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীও।
কীভাবে পৌঁছাবেন
নিঝুম দ্বীপে যেতে হলে প্রথমে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা পর্যন্ত আসতে হয়। এরপর হাতিয়া থেকে নৌপথে নিঝুম দ্বীপে পৌঁছানো যায়। নৌকাগুলো সাধারণত স্থানীয়ভাবে চালিত হয় এবং পর্যটকদের জন্য সারাদিনের ভ্রমণ ব্যবস্থা করা হয়।
নিঝুম দ্বীপে থাকার ব্যবস্থা
যেহেতু নিঝুম দ্বীপে বেশি মানুষের বাস নেই, তাই এখানকার থাকার ব্যবস্থা সীমিত। তবে পর্যটকদের জন্য কিছু ছোট কটেজ বা তাঁবু ভাড়া পাওয়া যায়। এছাড়া স্থানীয়ভাবে পরিচালিত কিছু হোটেল বা রেস্ট হাউসও আছে। তবে সুবিধাগুলি খুবই মৌলিক পর্যায়ের এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে দিন কাটাতে ভালোবাসা মানুষদের জন্য নিঝুম দ্বীপ একটি আদর্শ স্থান।
ভ্রমণকালীন সময়
সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের জন্য সেরা সময়। এই সময়টাতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং শীতের পরিযায়ী পাখির উপস্থিতি দ্বীপের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।
ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস
১. প্রয়োজনীয় খাবার এবং পানি সাথে রাখতে হবে, কারণ দ্বীপে খাবারের ব্যবস্থা সীমিত। ২. প্রকৃতিকে যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না করা হয়, সেজন্য প্লাস্টিক বা অন্যান্য বর্জ্য দ্বীপে না ফেলে, ফেরত নিয়ে আসা উচিত। ৩. ভ্রমণের সময় সুরক্ষার জন্য স্থানীয় গাইডের পরামর্শ নিতে হবে।
নিঝুম দ্বীপ তার নির্জনতা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।

(Nijhum Dwip) বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ছোট দ্বীপ। এটি মূলত বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত। নিঝুম দ্বীপ একটি নির্জন দ্বীপ, যার নামেই এটি পরিচিত। এটি প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের আধার এবং পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।

নিঝুম দ্বীপের অবস্থান ও পরিবেশ
নিঝুম দ্বীপ মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন, তাই এখানে মানুষের সংখ্যা কম। এই দ্বীপে মানুষের স্থায়ী বসতি নেই বললেই চলে এবং সাধারণত মৎসজীবী ও পর্যটকরাই এখানে বেশিরভাগ সময় অবস্থান করে। দ্বীপটি সবুজ বনভূমি, সরল সমুদ্রসৈকত এবং বন্যপ্রাণীতে সমৃদ্ধ। এখানে কেওড়া গাছের বন রয়েছে, যা দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
বন্যপ্রাণী
নিঝুম দ্বীপে বাংলাদেশি বন্য হরিণের অন্যতম বৃহত্তম অভয়ারণ্য রয়েছে। এছাড়াও শীতকালে এখানে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি আসে। এই দ্বীপে হরিণের সংখ্যা প্রচুর এবং এটি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে সংরক্ষিত একটি অভয়ারণ্য হিসাবে বিবেচিত। দ্বীপে রয়েছে বিভিন্ন জাতের কুমির, সাপ, এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীও।
কীভাবে পৌঁছাবেন
নিঝুম দ্বীপে যেতে হলে প্রথমে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা পর্যন্ত আসতে হয়। এরপর হাতিয়া থেকে নৌপথে নিঝুম দ্বীপে পৌঁছানো যায়। নৌকাগুলো সাধারণত স্থানীয়ভাবে চালিত হয় এবং পর্যটকদের জন্য সারাদিনের ভ্রমণ ব্যবস্থা করা হয়।
নিঝুম দ্বীপে থাকার ব্যবস্থা
যেহেতু নিঝুম দ্বীপে বেশি মানুষের বাস নেই, তাই এখানকার থাকার ব্যবস্থা সীমিত। তবে পর্যটকদের জন্য কিছু ছোট কটেজ বা তাঁবু ভাড়া পাওয়া যায়। এছাড়া স্থানীয়ভাবে পরিচালিত কিছু হোটেল বা রেস্ট হাউসও আছে। তবে সুবিধাগুলি খুবই মৌলিক পর্যায়ের এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে দিন কাটাতে ভালোবাসা মানুষদের জন্য নিঝুম দ্বীপ একটি আদর্শ স্থান।
ভ্রমণকালীন সময়
সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের জন্য সেরা সময়। এই সময়টাতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং শীতের পরিযায়ী পাখির উপস্থিতি দ্বীপের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।
ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস
১. প্রয়োজনীয় খাবার এবং পানি সাথে রাখতে হবে, কারণ দ্বীপে খাবারের ব্যবস্থা সীমিত। ২. প্রকৃতিকে যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না করা হয়, সেজন্য প্লাস্টিক বা অন্যান্য বর্জ্য দ্বীপে না ফেলে, ফেরত নিয়ে আসা উচিত। ৩. ভ্রমণের সময় সুরক্ষার জন্য স্থানীয় গাইডের পরামর্শ নিতে হবে।
নিঝুম দ্বীপ তার নির্জনতা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com