আমরা অনেকেই নিজের শক্তি সম্পর্কে খুব একটা অবগত নই। ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য যত পরিকল্পনাই করুন না কেন বা আবেগ আপনাকে যেখানেই নিয়ে যাক না কেন, আপনি যদি আপনার মধ্যে লুক্কায়িত শক্তিকে চিনতে না পারেন, তবে সেটি ব্যর্থ হবে। তাই সফলতার জন্য দরকার সেই শক্তিকে খুঁজে তার উপযুক্ত ব্যবহার সুনিশ্চিত করা।
নিয়ম ভাঙার গান
আমি আমার জীবনকে এখন যেভাবে দেখছি তা একদিনে পাইনি। এটি শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আসলে আমি প্রতিনিয়ত শিখেছি কীভাবে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম ভেঙে এগিয়ে যেতে হয়। তবে মনে রাখবেন, এই নিয়ম ভাঙাটা যেন হয় দক্ষতার সঙ্গে। না-হয় বিপদে পড়ে যেতে পারেন!
প্রেরণায় স্টিভ
আমি সত্যিই খুব সৌভাগ্যবান এ জন্য যে স্টিভ জবসের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যা আমাদের অ্যাপল কোম্পানিকে আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাচ্ছে। তিনি কেবল আমাকে পথই দেখাননি, সবসময় আমার বন্ধু এবং পরামর্শদাতা হিসেবেও পাশে ছিলেন। পৃথিবী বদলে দেওয়া স্টিভের দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতি আজও অ্যাপলে আমাদের পথ দেখায়। আমরা এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করি যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং অনিবার্য। তাই আমরা শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তিতে অ্যাপল পরিচালনা করি।
সাহসে ভর দিয়ে পথ চলুন
আবার একই মুদ্রার উল্টো পিঠের মতো দেখা যায়, আমাদের তরুণদের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য খুব বেশি চোখে লাগে। তা হচ্ছে, নতুন কিছু করার ভয়। বলি, নির্ভীকতাই যে কোনো উদ্ভাবনের প্রথম পদক্ষেপ। তাই সাহসের সঙ্গে লেগে থাকুন সবসময়। এমনকি যদি আপনি নাও জানেন যে এটি আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে।
অজুহাত ছুড়ে ফেলুন
যদি একটু পেছনে ফিরে তাকাই, দেখা যায়, আজ থেকে ৫০ বছর আগে রবার্ট কেনেডি নেব্রাস্কায় ছাত্রদের মাঝে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেটিও ছিল দুঃসময়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। আমেরিকার শহরগুলোয় লেগে ছিল সহিংস অস্থিরতা। কেবল তাই নয়, দেশটি তার মাত্র এক মাস আগে ড. মার্টিন লুথার কিং-এর হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ভুলতে পারেনি। কেনেডি ছাত্রদের কর্মের আহ্বান জানিয়েছিলেন। আপনি যখন এই দেশজুড়ে তাকান এবং যখন বৈষম্য ও দারিদ্র্য দ্বারা মানুষের জীবনকে আটকে রাখা দেখেন, যখন আপনি অন্যায় এবং অসমতা দেখেন, তখন তিনি বলেছিলেন- আপনিই যেন এই দারিদ্র্য ও বৈষম্যের শেষ বিন্দু। আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে যে পেশাই বেছে নেন, সেটি যেন হয় দেশের কল্যাণে এবং বৈষম্য দূর করার নিমিত্তে। কোনো অজুহাত যেন আপনাকে গ্রাস না করে।