এ বি ওয়ালীউদ্দিন চৌধুরী একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। তিনি ১৮ বছর ধরে মিডিয়া এবং বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন।
নিউইয়র্কে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি আছে, যার মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরা এবং বিশ্বজনকে পরিচয় করানো। এখানে অ্যাবাউট টাইম ইভেন্ট ইনক নামে একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এর ব্যানারে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ফ্যাশন শোর আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় বড় ইভেন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ওয়ালী চৌধুরীর বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে। তিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে আসেন। পরিবার নিয়ে কুইন্সে থাকেন। পরিবারে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছেন। নিউইয়র্কে স্থায়ী হয়েও ফ্যাশন ডিজাইন করছেন ওয়ালী চৌধুরী। এখানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, আমি সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন ফ্যাশন শোর আয়োজন করতে যাচ্ছি। সময়মতো ঘোষণা আসছে। আগামী বছর ঈদের পরে একাধিক ইভেন্ট করব। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে অনেক শিল্পীরা আসবেন। দেশীয় কালচারকে উন্নত বিশ্বে তুলে ধরব। ফ্যাশন শোতে জামদানি ও কাতান দিয়ে ওয়েস্টার্ন ডিজাইন করব। আমাদের উন্নত শিল্প ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরব।
সম্প্রতি প্রখ্যাত শিল্পী সামিনা চৌধুরীর একক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আরেক প্রখ্যাত শিল্পী ফাহমিদা নবীর বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানও করা হয়েছে। ওয়ালী চৌধুরী ভারত, লন্ডন, নেপালসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্যাশন উইক ও ডে করেছেন। বাংলাদেশে ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর লেখাপড়া শেষ করার পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন। দেশে থাকতে অনেক শোর আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখনো চাকরির পাশাপাশি এসব কাজ করছেন। তিনি এখানকার কোনো টিভিতে কোরিওগ্রাফার ও ডিজাইনার হিসেবে যোগ দিতে চান।
ওয়ালী চৌধুরী বলেন, নিজ কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্ব করে যখন আমি আন্তর্জাতিক শো করি, তখন আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টা করি। আমার অনুষ্ঠানে বেশির ভাগই বাংলা গান বাজানো হয়, বাংলা ভাষায় কাপড় ব্যবহার ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের দেশে এই ক্যারিয়ারের চাহিদা রয়েছে। নিজের কাজকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে এই সেক্টরে আজকের দিনে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এবং ইন্টার্ন হিসেবেও এখন বেশ কিছু বড় আকারের ফ্যাশন শো আছে। অনেক ফ্যাশন শো অসাধারণভাবে ভালো করছে। এখন অনেক চ্যানেল আছে। মিডিয়া তাদের তৈরি মেমিকে নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করেছে। এসবের সঙ্গে প্রথমত ডিজাইনিং জড়িত। সুতরাং, এই ক্যারিয়ার এখন আরও উন্নত। মূল বিষয়টা হলো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে সৃজনশীলতা, স্টাইল বোধ, ট্রেন্ড বোঝা, আর কাস্টমার বা মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার দক্ষতা অনেক সময় আনুষ্ঠানিক ডিগ্রির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, আমি ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে মিডিয়া এবং বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছি। নিউইয়র্কে আমাদের একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি আছে, যার মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরা এবং বিশ্বজনকে পরিচয় করানো।