বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

নাটোরের হালতি বিল যেন আরেকটি মিনি কক্সবাজার

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১

সমুদ্রের ঢেউ খেলানো জলরাশি ও মুক্ত বাতাস কে না ভালোবাসে? সাথে যদি থাকে একটি ভাসমান নৌকা আর কিছু বন্ধুবান্ধব তাহলে তো কথাই নেই। মনে হবে যেন স্বর্গের রাজ্যে একটি ফুটন্ত গোলাপে প্রজাপতি বসে তার সৌন্দর্য উপভোগ করছে। নাটোরের হালতি বিলের পাটুল ঘাট, এ যেন আরেকটি মিনি কক্সবাজার।

প্রতিদিন এখানে আসেন শত শত প্রকৃতি-পিয়াসী মানুষ। বিলের ডুবোপথে হেঁটে বেড়ানো, সাঁতার কাটা আর নৌকা ভ্রমণে দিন যাপন তাদের। আধুনিকতার সামন্য ছোঁয়ায় এ স্থানটি হতে পারে পূর্ণঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র।

এটি শুধু বর্ষাকালে পানিতে থৈ থৈ করে এবং গড়ে ওঠে একটি মৌসুমী পর্যটন এলাকা। তাই বর্ষাকালে অনেকে ভালোবেসে এ বিলকে ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে ডাকেন।

শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের এই বিল বষার্য় সাগরের মতো দেখায়। জল ছুয়ে আসা বাতাস, আর তীরে আছরে পড়া ডেউ আর মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। বছরের অন্যসময়ও এই বিল থাকে জলেভরা। কিছুদিন আগে পাটুল ঘাট থেকে নির্মান করা হয়েছে ডুবোসড়ক। যা পর্যটকদের অন্যতম আর্কষণ।

বর্ষায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে পরিচিত এই বিল দেখতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। বর্ষায় সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এই ডুবন্ত সড়ক নির্মাণের পর থেকে বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই এই পাটুল ঘাট এলাকায় লোকজন ঘুরতে আসে। তবে এবার বর্ষার শুরুতেই পানিতে ডুবে এক শিক্ষকের মৃত্যুতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে দেখা দেয় হতাশা। ওই মৃত্যুর ঘটনার পর জেলা প্রশাসন হালতি বিলের নৌকা মাঝিদের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করে এবং পর্যটকবাহী নৌকায় ‘লাইফ জ্যাকেট’ রাখা বাধ্যতামূলক করেছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ বলেন, বর্ষার সময় নাটোরের হালতি বিল ও চলনবিলে হাজার হাজার পর্যটক আসেন নৌকাভ্রমণ করতে। হালতি বিলের পাটুল ঘাট এলাকাকে পর্যটন সুবিধার আওতায় আনতে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘুরতে আসা লোকজনের নিরাপত্তায় লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে তৈরি এসব নৌকায় লাইফ জ্যাকেট না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে পর্যটকদের প্রাণহানি ঘটে। প্রতিবছর এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। সর্বশেষ গত শনিবার হালতি বিলে নৌকাভ্রমণে এসে রাজশাহীর নর্থবেঙ্গল ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক তাঁর সহকর্মীকে উদ্ধারের জন্য পানিতে লাফিয়ে পড়লে তিনি নিখোঁজ হন। দুই দিন পর ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বিলের পানিতে তাঁর লাশ ভাসতে দেখা যায়। নৌকায় লাইফ জ্যাকেট থাকলে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com