জোমো কেনিয়াটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Jomo Kenyatta International Airport – JKIA) হলো কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি শহরের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি শুধুমাত্র কেনিয়ার নয়, পুরো পূর্ব আফ্রিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত।
বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়েছে জোমো কেনিয়াটার নামে, যিনি ছিলেন কেনিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি। ১৯৫৮ সালে এটি প্রথম চালু হয়, তখন এর নাম ছিল এম্বাকাসি এয়ারপোর্ট। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে জোমো কেনিয়াটার মৃত্যু পর তাঁর নামে বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়।
নাইরোবি শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই বিমানবন্দরটি। এর কৌশলগত অবস্থান আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্টে পরিণত করেছে।
JKIA-তে বর্তমানে চারটি প্রধান টার্মিনাল রয়েছে:
টার্মিনাল 1A: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট (মূলত কেনিয়া এয়ারওয়েজের জন্য ব্যবহৃত)
টার্মিনাল 1B ও 1C: অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইট
টার্মিনাল 1D: অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
টার্মিনাল 2: লো-কোস্ট ক্যারিয়ার ফ্লাইট
এছাড়াও ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে বিমানবন্দরের যাত্রী ধারণক্ষমতা দ্বিগুণ করা যায়।
বিমানবন্দরটি কেনিয়া এয়ারওয়েজ-এর হাব হিসেবে কাজ করে। এখানে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকার অনেক শহরের সাথে সরাসরি বিমান সংযোগ রয়েছে।
আধুনিক ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পরিষেবা
ডিউটি-ফ্রি শপিং
রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে
লাউঞ্জ সুবিধা (বিশেষ করে বিজনেস ক্লাস যাত্রীদের জন্য)
ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা (কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য)
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও দ্রুত চেক-ইন ব্যবস্থা
যাতায়াত ব্যবস্থা
নাইরোবি বিমানবন্দর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে:
ট্যাক্সি সার্ভিস (সরকার অনুমোদিত)
অনলাইন রাইড (Uber, Bolt)
বাস ও শাটল পরিষেবা
বিমানবন্দরটিকে পূর্ব আফ্রিকার “এভিয়েশন হাব” হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একটি নতুন রানওয়ে, কার্গো হ্যান্ডলিং সুবিধা এবং উন্নত টার্মিনাল নির্মাণ চলমান রয়েছে।
জোমো কেনিয়াটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শুধু একটি বিমান চলাচলের কেন্দ্র নয়—এটি কেনিয়ার আন্তর্জাতিক মুখপাত্র। আধুনিক সুবিধা, কার্যকর ব্যবস্থাপনা এবং আফ্রিকান আতিথেয়তার মিশেলে এটি বিশ্বের অন্যতম পছন্দের ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।