রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে

  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

জানতে চাইলে বেসরকারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান কাজী ওয়াহিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ১০ বছরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী পরিবহন তিন গুণ বাড়বে। কার্গো বাড়বে। তাই তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সাময়িকভাবে সুফল মিলবে। বিদেশি অনেক যাত্রী ও কার্গো এয়ারলাইনস দেশে আসতে চাচ্ছে বলে জানালেন তিনি।

জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের সুফল ব্যবসা-বাণিজ্যে অবশ্যই পড়বে। তবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি উন্নত সেবা নিশ্চিত করা জরুরি। বিদেশ থেকে আসা কোনো বিনিয়োগকারী যদি উড়োজাহাজ থেকে নেমেই ইমিগ্রেশনে লম্বা লাইন দেখেন, তাহলে তিনি নিরুৎসাহিত হবেন। তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমানবন্দর পরিচালনা করে না। কারণ, তাতে জবাবদিহি থাকে না। নতুন টার্মিনাল পরিচালনার জন্য দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশি দক্ষ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি নিয়োগ করা প্রয়োজন। যেহেতু আমাদের এই জায়গায় ঘাটতি রয়েছে।

নির্মাণাধীন নতুন টার্মিনালের নিচে মেট্রোরেলের স্টেশন থাকবে। এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও বিআরটির সংযোগও থাকবে। ফলে বিমানবন্দরে যাওয়া–আসার ব্যবস্থা বর্তমানের চেয়ে বহুমাত্রিক হবে। তা ছাড়া বিমানবন্দরের পাশেই হচ্ছে পাঁচ ও তিন তারকা মানের হোটেল। বিপণিবিতানও নির্মাণ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগে।

বিমানবন্দর সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে নতুন কার্গো ভিলেজ তৈরি হচ্ছে। এই কার্গো ভিলেজের আয়তন ৬৩ হাজার বর্গফুট। এটি বর্তমান কার্গো ভিলেজের কয়েক গুণ বড়। মূলত পৃথক দুটি চারতলা ভবনে ইমপোর্ট (আমদানি) ও এক্সপোর্ট (রপ্তানি) কার্গো ভিলেজ হবে। উভয় ক্ষেত্রে পণ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকবে।

জানতে চাইলে ফ্রেইট ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক কে জেড ইবনে আমিন সোহাইল প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও কার্গো ভিলেজ নির্মিত হলে আকাশপথে পণ্য আনা-নেওয়া বাড়বে। কারণ, টার্মিনাল ও কার্গো ভিলেজে আধুনিক সুবিধা থাকবে। পণ্য পড়ে থাকবে না। দ্রুত পণ্য খালাস করা সম্ভব হবে।

বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিনই মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সবজি ও ফলমূল রপ্তানি হয়। নতুন টার্মিনাল চালু হলে রপ্তানিপ্রক্রিয়া সহজ হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর। তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে কার্গো হ্যান্ডলিং বর্তমানের মতো ম্যানুয়ালি হবে না। পুরো প্রক্রিয়া হাতের স্পর্শ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হওয়ায় সময় কম লাগবে। তা ছাড়া পচনশীল দ্রব্যের জন্য শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ওয়্যারহাউস থাকবে। সেটি হলে পণ্য নষ্ট হবে না। বর্তমানে উড়োজাহাজে ওঠানোর আগে ৮-১০ ঘণ্টা বাইরে পড়ে থেকে সবজি ও ফলমূলের মান খারাপ হয়ে যায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com