পৃথিবীর স্বর্গ হিসেবে পরিচিত কাশ্মির। প্রত্যেক ঋতুতে এর সৌন্দর্য আলাদা। কাশ্মিরের ডাল লেক পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর এখানে গেলে হাউসবোটে যদি আপনি না থাকেন তবে কাশ্মীর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এই বোটগুলো শিকারা নামেও পরিচিত। এই হাউসবোটগুলো সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার অন্যতম প্রধান কারণ।
বছরের পর বছর ধরে ডাল লেকের হাউসবোটগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো রকম সংস্কার ছাড়া এগুলো সেই একইভাবে রয়ে গেছে। কিছু মানুষের এগুলো বেঁচে থাকার অস্তিত্ব। জীবিকার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করছে এই হাউজবোটগুলো। সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছেন যে, ডাল লেকে অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন হাউসবোটগুলো মেরামত ও সংস্কার করা হবে। যা কিনা খুবই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। এটি হাউজবোট কমিউনিটির জন্য ব্যাপক স্বস্তি বয়ে এনেছে। এটি স্থানীয় পর্যটন শিল্পকেও বাড়িয়ে তুলবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, শত বছরের পুরনো এই হাউসবোটগুলোকে নতুন রূপ দেওয়ার জন্য দক্ষ কারিগরদের নিযুক্ত করা হবে। তারা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পুনরুদ্ধারের কাজটি সম্পাদন করবে। এগুলোর কারুশিল্প আরও নিঁখুত করা হবে। নতুন এই উদ্যোগটি পর্যটক এবং হাউসবোট উভয় সম্প্রদায়ের জন্য নতুন আশার আলো নিয়ে আসবে।
হাউজবোটগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা বেষ্টিত। হাউজবোটে থাকার অভিজ্ঞতা, হোটেলে থাকার সাথে তুলনা করা যায় না। এখানে থাকাকালীন সময়ে সূর্যের আলোর প্রথম রশ্মি দেখতে আপনি আলস্য বোধ করবেন না। বোটগুলোর ভিতরে চমৎকার সাজসজ্জা, ঐতিহ্যবাহী কার্পেট এবং চমৎকার নিদর্শনগুলো আপনাকে ঘরের ভিতরে কাটাতে প্রলুব্ধ করবে। এই হাউসবোটগুলো আপনাকে খাঁটি কাশ্মীরি জীবনের অভিজ্ঞতা দেবে।
অতিথিরা হাউসবোটে কেনাকাটাও করতে পারেন। প্রচুর বিক্রেতারা হস্তশিল্প, ফুল, খাদ্য আইটেম এবং আরও অনেক কিছু বিক্রি করতে অতিথিদের কাছে আসেন। এই নৌযানগুলো ভাসমান দোকান হিসেবেও পরিচিত।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া