শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন

নতুন ব্যবসা যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করবেন

  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩

মো. আমিনুল ইসলাম শাহিন। শাহিন’স হেল্পলাইনের ফাউন্ডার ও পরামর্শদাতা। তিনি একাধারে একজন এসএমই বিজনেস লিগ্যাল ডকুমেন্টেশন বিশেষজ্ঞ, লেখক, প্রশিক্ষক এবং মেন্টর। তিনি সর্বদা তার সব দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেন। দেশী–বিদেশি নানা প্রতিষ্ঠানের হয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ৪০টিরও বেশি জেলায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন।

এই সকল কাজ করতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসএমই ব্যবসা-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-সামগ্রীর অভাব দেখতে পান। তাই তিনি তাদের জন্য ৩টি ব্যবসা-সংক্রান্ত বই লিখেছেন। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্লগ, অডিও, ভিডিও তৈরি করেছেন। এই কাজগুলো শুধু তার জন্য একটি পেশা নয়, আবেগ; যার মাধ্যমে তিনি ব্যবসায়ীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে ভূমিকা রাখছেন।

একজন তরুন-তরুণী যখন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে সেখান থেকে সফলভাবে ব্যবসা করতে চান, তখন প্রথমেই যে চ্যালেঞ্জটির মোকাবিলা করতে হয়, সেটি হলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ কীভাবে দেবেন? তখন তিনি অনুসন্ধান করেন এ বিষয়ে সঠিক তথ্য কোথায় পাওয়া যায়।

দেখা যায় বেশির ভাগ সময় অন্যের কাছ থেকে শুনে অথবা নিজে নিজে যা বুঝে সেভাবে একটা  করে ফেলেন। ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ যদি সঠিক না হয় তাহলে এর দায় পরবর্তীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নানাভাবে দিতে হয়। এমন কি ব্যবসা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে বন্ধও হয়ে যেতে পারে।

আমাদের দেশের ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ব্যবসার মালিকানার উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি একটি একমালিকানা ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে এর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হবে একরকম। আবার আপনি যদি যৌথ মালিকানা ব্যবসা বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি করতে চান তাহলে এগুলোর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অন্যরকম।

শুধু তাই নয়, ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে গিয়ে কোন লাইসেন্সটি আগে করতে হবে, কোনটি পরে করতে হবে যে বিষয়েও পর্যাপ্ত  তথ্য কোথাও নেই। ফলে বেশিরভাগ সময়ই নতুন ব্যবসায়ীরা বুঝতে না পেরে এর লাইসেন্সের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেন না।

আমাদের দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানীকিকরণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইন রয়েছে। সেই আইনে শুধুমাত্র লাইসেন্সের বিষয়েই বিস্তারিতভাবে বলা আছে। কিন্তু এমন কোন আইন নেই যেখানে যে কোন ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানীকিকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আছে।

উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে আপনি যদি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি খুলতে চান তাহলে আপনাকে “কোম্পানি আইন-১৯৯৪” অনুযায়ী তা করতে হবে। আবার আপনি যদি একটি যৌথমালিকানা ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে “পার্টনারশিপ আইন-১৯৩২” অনুযায়ী করতে হবে। আবার পার্টনারশিপ ডিড এর জন্য আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।

মো. আমিনুল ইসলাম শাহিন, এই পুরো বিষয়গুলোকে সহজ করে তার ভিডিও কোর্স “Legal Documentation Journey of Entrepreneurship” এর মধ্যে তুলে ধরেছেন। যাতে করে একজন নতুন ব্যবসায়ী সহজেই ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের তথ্যগুলো এখান থেকে পেয়ে যেতে পারেন এবং সঠিক নিয়মে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রাতিষ্ঠানীকিকরণ করতে পারেন।

এই কোর্সের মধ্যে তিনি ৩টি মডিউলে ৩৪টি ভিডিওর মধ্যে বিস্তারিতভাবে ৩০০ মিনিটের বেশি সময় নিয়ে আলোচনা করেছেন। মডিউল ৩টি হলো: মডিউল- ০১ একমালিকানা ব্যবসা। মডিউল- ০২ যৌথ মালিকানা ব্যবসা এবং মডিউল- ০৩ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।

তিনি এই কোর্সটিতে শুধু ভিডিও দিয়েই তৈরি করেননি সাথে প্রয়োজনীয় আইনের প্রজ্ঞাপন, ফরমেট ইত্যাদির কপিও রেখেছেন। যাতে করে নতুন ব্যবসায়ীরা নিজে নিজেই এই কোর্সের তথ্য থেকে প্রাপ্ত যাচাই বাছাই করে তার প্রয়োজন অনুযায়ী কাজে লাগাতে পারে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com