নাগরিক জীবন ঢাকায় ব্যস্ততার ফাঁকে প্রিয়জনদের সাথে গেট টুগেদার কিংবা আউটিং মানেই হলো কোন বদ্ধ রেস্টুরেন্টে বসে খাবারের স্বাদ যাচাই করার সাথে একটুখানি ভালো সময় কাটানোর প্রচেষ্টা। আর এই আড্ডা টাই যদি হয় খোলা মেলা গোছানো প্রাকৃতিক পরিবেশে তাহলে তো কথাই নেই। বলছি পূর্বাচলের নকশি পল্লী রেস্টুরেন্টের কথা। গাছগাছালি ঘেরা, খড়ের চালের ঘর আর কাঠ বাঁশ দিয়ে তৈরি সুন্দর অবকাঠামোয় গড়া নকশি পল্লী রেস্টুরেন্ট।
রেস্টুরেন্টের মাঝখানে আছে ছোট্ট লেক আর লেকের জলে খেলা করছে নানা রকম মাছ। লেকের উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য আছে কাঠের তৈরি ব্রিজ। অনেক বড় জায়গা নিয়ে সাজানো এই রেস্টুরেন্ট। খাওয়া দাওয়ার সাথে গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে পারেন। পাশেই আছে নদী। চাইলে বোটে করে পড়ন্ত বিকেলে নদীর বুকে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এছাড়া আছে ঘোড়ার গাড়িও। হেঁটে চলার দীর্ঘ পথ। শরতে যখন কাশফুলে ছেয়ে যায় চারদিক তখন পরিবেশ মনোরম আবেশে ছেয়ে যায়। সন্ধ্যায় রেস্টুরেন্ট টি নানা রঙ্গের আলোয় সয়লাব হয়ে যায়।
জলের পানিতে এর বিকিরণ আরো মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। আর এমন পরিবেশে সঙ্গীত সৃষ্টি করে আলাদা আমেজ। সপ্তাহে তিনদিন এখানে আছে লাইভ মিউজিক শুনার ব্যবস্থা। প্রতি বুধবার, শুক্রবার আর শনিবার বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলে লাইভ মিউজিক। এখানে বিভিন্ন রকমের খাবারের ব্যবস্থাই আছে। খাবারে মান স্বাদ সব মিলিয়ে পরিবার প্রিয়জন নিয়ে আপনার সময় কাটবে চমৎকার। আগে থেকে জন্মদিন কিংবা এনিভার্সারির পার্টি বুকিং দিয়েও রাখতে পারেন। অবস্থান ও যাতায়াত: নকশি পল্লী রেস্টুরেন্ট টি পূর্বাচলের সেক্টর ১, রোড – ৪০২, প্লট ০৬, গুদারা ঘাট পূর্বাচল বালু নদীর পাশে অবস্থিত। এখানে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে পৌঁছাতে হবে ঢাকার ৩০০ ফিটে।
৩০০ ফিট থেকে পূর্বাচলে যাবার পথে পাবেন পরপর বোয়ালিয়া ও বালু ব্রিজ। বালু ব্রিজ পার হলেই হাতের ডানে ভোলানাথ পুর কবরস্থান দেখতে পাবেন। ঐ রাস্তা ধরে কিছুদূর হাঁটলেই পেয়ে যাবেন নকশি পল্লী রেস্টুরেন্ট। এই পথে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেই বিধায় ৩০০ ফিটে এসে আপনাকে অটোতে করে বালু ব্রিজ যেতে হবে। ভাড়া পড়বে ৩০ টাকা জনপ্রতি। বাকি অল্প পথ হেঁটেই পার হতে পারবেন। নিজস্ব যানবাহনে করেও যেতে পারেন। আর গ্রুপ করে যদি সাইকেল কিংবা বাইক নিয়ে যেতে পারেন তবে সেটা আরো মজার হবে।