শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন

ধনী দেশগুলোর কাছে ৬ লাখ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
বাংলাদেশকে উন্নয়নের নামে প্রায় সাত হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে সব মিলে ৪৭৭ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। দেশ এখন ঋণের ফাঁদে জর্জরিত। তবে বাংলাদেশ একদিকে যেমন ঋণগ্রস্ত, তেমনি উন্নত বিশ্বের কাছে অর্থ দাবি করতে পারবে।

ধনী ও জলবায়ু দূষণকারী দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত পাওনা ৫.৮ ট্রিলিয়ন বা পাঁচ লাখ ৮০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।সংস্থাটির প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০২৪ সালে বিশ্বের ৫৪টি নিম্ন আয়ের দেশ বিদেশি ঋণের ফাঁদে জর্জরিত। দেশগুলো জাতীয় উন্নয়ন বিসর্জনের বিনিময়ে ধনী দেশগুলোর কাছে পরিশোধ করেছে ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে সব মিলে ৪৭৭ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ২০০৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় রাজস্বের ১৬.৯ শতাংশ অর্থ গেছে বিদেশি ঋণ পরিশোধের পেছনে।

যেখানে দেশের স্বাস্থ্য খাতে শুধু ৩.০৮ শতাংশ এবং শিক্ষা খাতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ১১.৭৩ শতাংশ। ধনী দেশগুলো, বেসরকারি ঋণদাতা এবং বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জলবায়ু কর্মসূচিসহ অপরিহার্য সরকারি সেবাসমূহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ।প্রতিবেদনে বিশ্ব নেতাদের কাছে বেশ কিছু আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ঋণ নিয়ে নতুন জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন প্রতিষ্ঠায় প্রাধান্য দেওয়া। বৈদেশিক ঋণ প্রত্যাহারে সবার ঐক্য প্রচেষ্টাও দাবি।

জরুরি ভিত্তিতে বিদেশি ঋণ প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, নতুন প্রতিবেদনটিতে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর বিদেশি ঋণের ফাঁদের চিত্র ফুটে উঠেছে। ধনী দেশগুলোর জলবায়ুু ক্ষতিপূরণ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। ঋণসংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রত্যাহার এবং ঔপনিবেশিক ঋণকাঠামো থেকে মুক্তির আহ্বান জানান তিনি। এই বছর ঋণ মওকুফে নতুন জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের জন্য চাপ দিতে হবে বৈশ্বিক দক্ষিণকে।

জানা গেছে, সম্প্রতি চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ‘হু ওজ হু’ নামের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল।

ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার বিষয়ে দুটি পদ্ধতিতে হিসাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯২ সাল থেকে নিঃসরণ (২০১০ সালের মার্কিন ডলার সমতুল্যে) বিবেচনায়, ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে নিম্ন পরিসরের অনুমান অনুযায়ী ৫.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ঋণ পাওনা রয়েছে বাংলাদেশের। মধ্য পরিসরের অনুমান অনুযায়ী (১৯৬০ সাল থেকে) এই পাওনার পরিমাণ ৭.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে ধনী দেশগুলো জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশকে ৫.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com